বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির মৎস্যজীবি বিষয়ক সম্পাদক লুৎফর রহমান কাজল বলেছেন, আমরা সাধারণ মানুষের শক্তি নিয়েই বলিয়ান, কারও ওপর ভার দিয়ে চলতে চাই না। এছাড়া, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে বৃহত্তর গর্জনিয়া নিয়ে উপজেলা করা হবে বলেও আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
বুধবার (১ জানুয়ারী) বিকেলে গর্জনিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলার গর্জনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সম্মেলন ও কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের মতো ফ্যাসিবাদ যেন আর না আসে, তার জন্যে বিএনপি সবসময় দেশ পাহারায় আছে- থাকবে।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি চাঁদাবাজির সাথে জড়িত না। কেউ এ ধরণের কাজে জড়িত অভিযোগ পেলে সাথে সাথে বহিষ্করের সিদ্ধান্ত আছে-করা হচ্ছে। কারণ আমাদের নেতা তারেক রহমান এ বিষয়ে কঠোর।
তিনি সবার উদ্দেশ্য বলেন, আওয়ামী যা করেছে তা বিএনপি করলে দেশের মানুষ কাকে বিশ্বাস করবে? তারা কেন গা ঢাকা দিল তা থেকে সবাইকে শিক্ষা নিতে হবে। সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করতে হবে।
সাবেক এমপি কাজল বলেন, বিএনপি জাতীয় ঐক্য চায়। সবাই ভেদাভেদ ভুলে যাই-এক কাতারে এসে দেশের কল্যাণে কাজ করি। নইলে বিপদ হবে, আওয়ামী নেতাদের প্রশ্রয় দেয়া যাবে না। যারা আওয়ামী লীগ নেতাদের দলে ঢুকাচ্ছেন তারা একদিন ওনাদেরই কাল হয়ে দাড়াবে। ইসলামের মূল্যবোধ আর জাতীয়তাবাদ ধ্বংস হযে যাবে। এজন্যে সবাইকে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
উন্নয়নের বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় আসলে মিয়ানমার সীমান্তের গর্জনিয়া হয়ে আশারতলীতে স্থলবন্দর ও বৃহত্তর গর্জনিয়া নিয়ে উপজেলা করা হবে। শাহসূজা সড়কের সম্প্রসারণ করে স্থলবন্দর (ল্যান্ডপোর্ট) এর কাজ তরান্বিত করা হবে। কেননা বিএনপি উন্নয়নের রাজনীতি করে। তাই বিগত সময়ে আমাদের নেত্রী বেগম জিয়া গর্জনিয়ার দুঃখ খ্যাত বাঁকখালী ব্রিজ করেছিলেন। গর্জনিয়ার মানুষের কষ্ট দূর করেছিলেন।
গর্জনিয়া ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আবদুল আলীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উদ্বোধক ছিলেন রামু উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোক্তার আহমদ, প্রধান বক্তা ছিলেন রামু উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বশর বাবু, বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা বিএনপি নেতা ফুরকান আহমদ, জেলা বিএনপি নেতা গোলাম মৌলা চৌধুরী, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি জাবেদ ইকবাল, মেরাজ আহমদ মাহিন, সাবেক উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফরিদা ইয়াসমিন, উপজেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক-কাজী আবদুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা বিএনপি নেতা ফয়সাল কাদের, ফরিদুল আলম, উপজেলা বিএনপি নেতা অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ সাংগঠনিক জয়নাল আবেদিন, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব তৌহিদুল ইসলাম, কচ্ছপিয়া বিএনপি সভাপতি ছৈয়দ আলম, বিএনপি নেতা রেজাউল করিম টিপু, গর্জনিয়া বিএনপি সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মুহিবুল্লাহ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাস্টার শামশুল আলম, কচ্ছপিয়া বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাইমুনুল হক মামুন, গর্জনিয়া ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক লুৎফর রহমান, কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা মো. আবদুল্লাহ প্রমুখ।
সভা শেষে বর্তমান সভাপতি আলদুল আলীমকে সভাপতি ও মুহিবুল্লাহকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন উপজেলা বিএনপি সভাপতি মোক্তার আহমদ।
কেকে/এজে