ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আবারও দু'দলের সংঘর্ষে ১৬ জন টেটাবৃদ্ধসহ ২৭জন আহত হয়েছে।
বুধবার (১ জানুয়ারি) সকাল থেকে দিনভর থেমে থেমে উপজেলার শান্তিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতদের নরসিংদী সদর হাসপাতাল ও বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
আহতরা হলেন, আলমগীর হোসেন, সোলেমান, সোহরাব হোসেন, রাসেল মিয়া, রফিক, দুলাল মিয়া, সনি মিয়া, সামীর মিয়া, ইসমাইল হোসেন, ইমরান হোসেন, হক মিয়া, মাসুদ মিয়া, শাহিন মিয়া, লালু মিয়া, রাব্বি মিয়া, হোসেন মিয়া, শাহপরান, শাহজালাল, শাহিন মিয়া।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবত সফু সরকারের বাড়ির সাথে আজগর আলী সরকার বাড়ির দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বুধবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ১৬জন টেটাবিদ্ধসহ ২৫ জন আহত হয়। আহতদের নরসিংদী জেলা সদর হাসপাতালে সহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। গত দুই মাস আগেও দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘষের ঘটনায় টেটাবিদ্ধসহ ৩০ জন আহত হয়।
সফু সরকার বাড়ির মতিউর রহমান সরকার জানান, দীর্ঘ ২ মাস ধরে সুলতান মাস্টারের লোকজন রাতের বেলা আমাদের বাড়িঘর ও লোকজনের উপর হামলা করার চেষ্টা করছে। আজ ফজর নামাজের সময় হঠাৎ সুলতান মাস্টারের লোকজন আমাদের উপর হামলা দেয়। আমরা নিজেদের রক্ষা করতে তাদেরকে ধাওয়া করি। এ সময় আমাদের লোকজন টেটাবিদ্ধ হয়ে আহত হয়।
আজগর আলী সরকার বাড়ির ইসমাইল হোসেন জানান, মাস দেড়েক আগে আমাদের উপর হামলা করেছিল মতি ও তার লোকজন এ সময় আমার অনেক লোকজন আহত হয়েছিল এবং তারপর থেকে আমরা গ্রামে যেতে পারছিনা। মঙ্গলবার আমরা গ্রামের বাড়িতে গেলে আজ ভোরে মতির লোকজন আমাদের উপর হামলা করে আমাদের বাড়িঘরে ভাঙচুর ও আমাদের উপর হামলা করে অনেকেই টেটা বিদ্ধ হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১ মাসে শান্তিপুরে এটি ৩য় দফার টেঁটা সংঘর্ষ। যা কোনোভাবেই থামানো যাচ্ছে না।এবার টেঁটার সাথে ককটেলও ব্যবহার করা হয়েছে।
সাংবাদিক সহ পুলিশও দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শান্তিপুর গ্রামে যেতে ১০ বার ভাবেন।
বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ মোরশেদুল আলম চৌধুরী জানান, শান্তিপুর গ্রামে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে বলে শুনেছি। আহতরা নরসিংদীতে চিকিৎসা নিয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন পক্ষ থানায় অভিযোগ দেয়নি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
কেকে/এমএস