আপনি কি একটু অন্তর্মুখী ধাঁচের? ক্লাস, অফিস কিংবা বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে অন্যদের সঙ্গে আলাপচারিতা থেকে নিজেকে গুটিয়ে রাখতে পছন্দ করেন? অথবা খোলাখুলিভাবে সব জায়গায় মতামত প্রকাশ করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন না? তাহলে আজকের দিনটি আপনার জন্যই।
আজ ২ জানুয়ারি, বিশ্ব অন্তর্মুখী দিবস বা ওয়ার্ল্ড ইনট্রোভার্ট ডে। এই দিনটি বিশেষভাবে তাদের জন্য, যারা বলেন কম, শোনেন বেশি। তবে তাঁদের এমন আচরণ প্রায়ই ভুল-বোঝাবুঝির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
কীভাবে শুরু হলো দিবসটির যাত্রা?
‘অন্তর্মুখী’ শব্দটির প্রচলন ঘটে ১৯০৯ সালে। সুইস মনোরোগ বিশেষজ্ঞ কার্ল জাং প্রথমবার ‘ইন্ট্রোভার্টেড’ শব্দটি ব্যবহার করেন ক্লার্ক ইউনিভার্সিটির এক বক্তৃতায়। তবে ২০১২ সালে জার্মান মনোবিজ্ঞানী ফেলিসিটাস হেইন প্রথম ২ জানুয়ারিকে বিশ্ব অন্তর্মুখী দিবস হিসেবে পালনের প্রস্তাব করেন।
ফেলিসিটাসের মতে, ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন থেকে শুরু হয়ে নতুন বছর পর্যন্ত উৎসবের হই-হুল্লোড় চলতে থাকে। এরপর ২ জানুয়ারিতে অন্তর্মুখীরা কিছুটা শান্ত সময় কাটানোর সুযোগ পান। এই দিনটি তাদের নিজস্ব জগতে ফিরে যাওয়ার একটি নিখুঁত সময়।
অন্তর্মুখী মানুষদের বৈশিষ্ট্য
অন্তর্মুখী ব্যক্তিরা সাধারণত একা থাকতে পছন্দ করেন। নিজের সঙ্গে সময় কাটানো এবং ভাবনার গভীরে ডুব দেওয়াটাই তাদের কাছে আরামদায়ক।
তারা দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখান না, ধৈর্যশীল এবং গভীর চিন্তাশীল। তবে সামাজিক অনুষ্ঠান, হট্টগোল বা হৈ-হুল্লোড় এড়িয়ে চলার কারণে তাদের অনেক সময় দুর্বল বা বোকা মনে করা হয়। আসলে তাদের নিজস্ব এক জগৎ রয়েছে, যা সাধারণ মানুষের ধারণার বাইরে।
কীভাবে পালন করবেন এই দিনটি?
আজকের দিনটি উদযাপন করতে পারেন কোনো ব্যস্ততা ছাড়াই। নিজের প্রিয় বিষয় নিয়ে ভাবুন, বই পড়ুন, অথবা কোনো নিরিবিলি জায়গায় গিয়ে নিজের সঙ্গে সময় কাটান। অন্তর্মুখী জীবনের সৌন্দর্য উপভোগ করুন এবং নিজেকে নতুন করে চিনুন।
বিশ্ব অন্তর্মুখী দিবসের এই বার্তাটি যেন সবার জন্য হয়—প্রত্যেকেরই নিজস্ব চিন্তার জায়গা আর সময় থাকা জরুরি। তাই অন্তর্মুখীরা আজ তাদের জগতে ডুবে থাকুন এবং নিজেদের মতো করে দিনটি উদযাপন করুন।
কেকে/এএম