বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের লাগাতার অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে ২০১৫ সালে সারা দেশে ৪২ জনকে হত্যার অভিযোগে বেগম খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
সেই সঙ্গে আদালত তাদের অভিযোগ থেকেও অব্যাহতি দিয়েছেন।
গুলশান থানা পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এই আদেশ দেন।
মামলার বাকি তিনজন হলেন—বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া, বিএনপির তৎকালীন ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী ও খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ।
গত ২১ সেপ্টেম্বর গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহীন মোল্লা আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছিলেন। তাতে উল্লেখ করা হয়, খালেদা জিয়াসহ অন্যদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারা (হত্যা), ৩৪ (সাধারণ অভিপ্রায়) ও ১০৯ ধারায় (সহায়তা) আনা অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি।
আওয়ামীপন্থী সংগঠন বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী বাদী হয়ে ২০১৫ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
ওই মামলার শুনানি নিয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মারুফ হোসেন গুলশান থানা পুলিশকে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এজাহারে সিদ্দিকী দাবি করেন, ‘খালেদা জিয়া হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন এবং বাকি আসামিরা ঘটনাগুলোতে উসকানি দিয়েছেন’।
সিদ্দিকী বলেন, বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের লাগাতার হরতাল-অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে নেতাকর্মীরা যানবাহনে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে এবং ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে ৪২ জন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হন।
কেকে/এমআই