গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ‘কল্যাণরাষ্ট্র গঠনে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা ও নতুন প্রজন্মের প্রত্যাশা’ বিষয়ে মুক্ত আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের আয়োজনে এ মুক্ত আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়।
মুক্ত আড্ডা পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজির হোসেন। আড্ডা সুচনা করেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. রফিকুজ্জামান খান।
আড্ডায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. জাফর আহমেদ লস্কর, উপজেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি মো. শাহজাহান মিঞা, গণমাধ্যমকর্মী সুদীপ্ত শামীম, সাইফুল আকন্দ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে নুর আলম মিয়া নুর, হাবিবুল্লাহ সরকার, কামরুল হাসান, রেজওয়ানুল কবির, হাসিবা সরকার, উপকারভোগী কাজল রেখা প্রমুখ।
এই আড্ডার মাধ্যমে স্থানীয় জনগণ, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের প্রতিনিধিরা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রম এবং এর মাধ্যমে একটি কল্যাণরাষ্ট্র গঠনের সম্ভাবনা নিয়ে তাদের ভাবনা ও প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। এছাড়া সামাজিক কার্যক্রমগুলোর কার্যকারিতা এবং এলাকার উন্নয়নে নতুন প্রজন্মের দৃষ্টিভঙ্গি কীভাবে সমাজের পরিবর্তনে ভূমিকা রাখতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হয়।
অংশগ্রহণকারীরা নতুন প্রজন্মের পক্ষ থেকে তাদের প্রয়োজনীয়তা এবং আশা প্রকাশ করেন। তারা বলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আরও কার্যকর উদ্যোগের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষের জন্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, এবং সামাজিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা আরও উন্নত হতে পারে।
তারা আরও বলেন, নতুন প্রজন্ম সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে আরও বেশি সহায়তা এবং সুযোগ-সুবিধার প্রত্যাশা করছে। আমরা চাই, সরকারের এসব উদ্যোগের মাধ্যমে আমাদের ভবিষ্যত আরও উজ্জ্বল এবং সুরক্ষিত হবে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যদি সরকার জনগণের পাশে দাঁড়ায়, তবে সামগ্রিক উন্নয়ন সম্ভব।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. রফিকুজ্জামান খান বলেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের মাধ্যমে একটি কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব। সরকারের বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির উদ্যোগগুলি সমাজের সকল শ্রেণির মানুষের জন্য উপকারি হতে পারে। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের জন্য এগুলোর সুফল পৌঁছে দিলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজির হোসেন বলেন, কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ যেমন, সামাজিক নিরাপত্তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হতে পারে। এসব কার্যক্রম সমাজের দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের জীবনমান উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে এবং নতুন প্রজন্মের জন্য একটি সুরক্ষিত ও উন্নত ভবিষ্যত নিশ্চিত করবে।
কেকে/এএম