ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় আওয়ামী লীগের দোসর শিক্ষক কাজী ইকবালের অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (০২ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টার দিকে আখাউড়া পৌর মুক্ত-মঞ্চের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। কাজী ইকবাল আখাউড়া নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক।
মানববন্ধনের ছাত্ররা অভিযোগ করে বলেন, করোনাকালে যখন ২০২০ সালে সারা দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল তখন আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র (আখাউড়ার অপকর্মের চাবি) মোঃ তাকজিল খলিফা কাজলের ঘনিষ্টজন হওয়ায় কাজী ইকবালকে নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছিলেন। কাজী ইকবাল সাধারণ মানের একজন শিক্ষক।
কাজী ইকবাল এসএসসি থেকে ডিগ্রি পর্যন্ত দুটিতে তৃতীয় বিভাগ এবং একটিতে দ্বিতীয় বিভাগে উর্ত্তীন হয়েছিলেন। আখাউড়ার স্বনামধন্য এই বিদ্যালয়টিতে যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার অতিবজরুরী হলেও আওয়ামীলীগের সীল যুক্ত শিক্ষক হওয়ায় ইকবালকে সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে নিয়োগ দিয়েছিলেন সাবেক মেয়র কাজল।
এছাড়াও শিক্ষক কাজী ইকবাল বিগত ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিভিন্ন দলীয় কর্মকান্ডে সরাসরি অংশ নেন। এমনকি জোর-পূর্বক শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহন করতে বাধ্য করতেন শিক্ষক ইকবাল। তিনি সর্বসময় স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক প্রভাব দেখিয়ে জিম্মি করে রাখতেন। আ.লীগের কোন দলীয় কর্মকান্ডে তার কথার অমান্য করলে ভয়ভীতি দেখিয়ে হেনস্থা করার অভিযোগ রয়েছে অনেক।
এসময় তারা আরো বলেন, কাজী ইকবাল সাবেক আইন মন্ত্রী আনিসুল হকের নির্বাচনের সময় নৌকার এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছেন। এবং সরাসরি আ.লীগের পক্ষে ভোটের প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন তিনি। আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ তাকজিল খলিফা কাজলের ঘনিষ্টজন ছিলেন কাজী ইকবাল হোসেন। যে কারণে তিনি তাকজিল খলিফা কাজলের নির্বাচনী কৌশলও নির্ধারণ করে দিতেন। সর্বশেষ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ মুরাদ হোসেনের পক্ষে একাধিক নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রাখেন।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, নিশাত খান, শাওন, রোবায়েত, সাদমান, ওমর প্রমূখ। মানববন্ধন শেষে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বরাবরে একটি স্মারকলিপি প্রদান করেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
কেকে/ এআর