কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে যুবদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ইটপাটকেলের আঘাতে ১০ জন আহত হয়েছে৷ এ সময় ৪ মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছে সংঘর্ষকারীরা।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে মনোহরগঞ্জ উপজেলা সদরের সরকারি কলেজের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপুল চন্দ্র দে।
বিএনপি ও স্থানীয়রা বলেন, মনোহরগঞ্জ উপজেলা যুবদলের কমিটি গঠনের পূর্বনির্ধারিত তারিখ ছিল বৃহস্পতিবার। এ উপলক্ষ্যে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়। কমিটি গঠনের জন্য কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের একটি সাংগঠনিক টিম সেখানে যায়। এ সময় মনোহরগঞ্জে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য কর্নেল (অব.) আনোয়ার উল আজীমের অনুসারীরা শোডাউন করেন। এতে কেন্দ্রীয় বিএনপির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালামের সমর্থকরাও শোডাউন বের করলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষ শুরু হলে সভাস্থলে কুমিল্লা থেকে আসা নেতা-কর্মীরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে সভাস্থল ত্যাগ করেন নেতৃবৃন্দ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ লাঠিচার্জ করে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।
আবুল কালাম পক্ষের যুবদলের নেতা সরোয়ার জাহান দোলন জানান, যুবদলের বাদপড়া কিছু লোক বহিরগতদের নিয়ে ঝামেলা করতে চেয়েছে, পরে জেলা কমিটির হস্তক্ষেপে তা সমাধান হয়।
আনোয়ার উল আজীম পক্ষের যুবদলের নেতা মাসুদুল আলম বাচ্চু বলেন, দলের ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে কমিটি করতে চাওয়ায় বঞ্চিতরা তাতে বাধা দেন। পরে জেলা কমিটির নেতারা মধ্যস্থতা করেন।
জেলা সাংগঠনিক টিমের প্রধান অ্যাডভোকেট মাসুদ হাসান ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া কথা স্বীকার করে জানান, দলীয় পদ-পদবি নিয়ে স্থানীয় নেতাদের মতবিরোধ আছে। তাই তাদের কথা শুনেছি এবং তা সমাধান হয় যাবে।
নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপুল চন্দ্র দে বলেন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কেকে/এমএস