মেঘনা নদীতে ইলিশ মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করা লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের জেলেরা চরম সংকটে পড়েছেন। বৈরী আবহাওয়া ও মাছের আকাল তাদের জীবিকা হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।
মতিরহাটের সোলাইমান মাঝি, যিনি ১৫-১৮ বছর ধরে এই পেশায় রয়েছেন, বলেন, এবার নদীতে এত কম মাছ কোনো বছর দেখিনি। পুঁজি উঠবে কিনা তা নিয়েই শঙ্কায় আছি। তার মতো অনেক জেলে সুদে ঋণ বা মহাজনের দাদন নিয়ে মাছ ধরতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
মৎস্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, বৈরী আবহাওয়ার কারণে মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগরে ইলিশের উৎপাদন কমে গেছে। গত বছরের তুলনায় এ মৌসুমে মৎস্য আহরণ অনেক কম। ফলে মৎস্য বিভাগের রাজস্ব আয়ে বড় ধরনের ঘাটতির আশঙ্কা রয়েছে।
লুধুয়া মাছঘাটের জেলে হোরন মাঝি ও মোতালেব মাঝি জানান, গত মৌসুমে দুই মাসে তারা ১০ লাখ টাকার মাছ আহরণ করেছিলেন। এবার মাত্র ৩-৪ লাখ টাকার মাছ পেয়েছেন। এ অবস্থায় মহাজনের দাদন শোধ করা কঠিন হয়ে পড়েছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তুর্য সাহা জানান, পরিস্থিতি পর্যালোচনায় জেলা মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নিয়ে মেঘনা নদী এলাকা পরিদর্শনের পরিকল্পনা রয়েছে। সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
কেকে/এএম