জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় চলতি মৌসুমে আগাম জাতের আলু তুলতে শুরু করেছেন কৃষকেরা। এতে ফলন ভালো হলেও গত বছরের তুলনায় এবার দাম কম পাচ্ছেন তারা। তবে ভবিষ্যতে আলুর বাজারদর কেমন থাকবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন কৃষকরা।
আলু চাষিরা জানান, এখন যারা আলু তুলছেন, তাদের সব খরচ বাদ দিয়ে কিছুটা লাভ থাকছে। তিন-চার দিনের ব্যবধানেই বাজারদর কমে যাচ্ছে। আগামী সপ্তাহে যারা আলু তুলবেন লোকসানের মুখে পড়তে পারেন বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় প্রায় ৯ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার তুলসীগঙ্গ ইউনিয়নের মুনঝার, ঘুগইল এলাকার কৃষাণ-কৃষাণীরা আগাম জাতের আলু তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এখন মূলত মিউজিকা, গ্রানোলা, ফ্রেশ, ক্যারেজ, রোমানা জাতের আলুই বেশি তোলা হচ্ছে।
উপজেলার ঘুগইল গ্রামের আলুচাষি রবিউল ইসলাম জানান, তিনি এবার ৫০ শতক জমিতে আগাম জাতের কারেজ আলু চাষ করেছেন। রোপণের ৭০ দিনের মাথায় ক্ষেত থেকে তুলেছেন। বিঘা প্রতি (৩৩ শতাংশ) তার খরচ হয়েছিল ৪০ হাজার টাকা। বিঘায় ফলন পেয়েছেন ৫০ মণ। বিক্রি করেছেন ৬৫ হাজার টাকায়।
মিনিগাড়ি গ্রামের কৃষক মকবুল বলেন, আমি ক্যারেজ জাতের আলু ১৩০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করেছি। ক্ষেতে আরও কিছু আলু আছে। সেগুলো তুলতে ১০-১৫ দিন লাগবে। দিন দিন যেভাবে দাম কমছে তাতে লোকসানের মুখে পড়তে হবে।
আলুর পাইকারি ক্রেতা আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, বাজারে এখন আগাম জাতের আলু উঠতে শুরু করেছে। এসব আলু ঢাকা, রাজশাহী, সিলেট, যশোর, চট্টগ্রাম, বরিশাল, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের মোকামে সরবরাহ করা হচ্ছে। কৃষক মোটামুটি লাভবান হচ্ছেন।
ক্ষেতলাল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জাহিদুর রহমান বলেন, ক্ষেতলালে অল্প পরিসরে আগাম জাতের আলু তোলা শুরু হয়েছে। আলুর ফলন মোটামুটি ভালো। ৫০-৬০ মণ আলু হচ্ছে বিঘাপ্রতি। ইনশাআল্লাহ কৃষক লাভবান হবেন।
কেকে/এএম