রাজারহাট উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আক্তারুজ্জামান আবুনুরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে তার নিজ বাড়ির সন্নিকট থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ জানায়, গত বছরের ৫ আগষ্টের পর থেকে গা ঢাকা দিয়ে থাকলেও গোপনে দেশ বিরোধি নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন আবুনুর। এছাড়া তিনি রাজারহাট বাজারে ২০১৩ সালে দোকান-ভাংচুর, অগ্নি-সংযোগ, লুটপাটের ঘটনায় সম্প্রতি থানায় থানায় দায়েরকৃত একটি মামলার ১নম্বর আসামী ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই বাবুলের নেতৃত্বে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
আবুনুর ২০০৯ সালে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। যদিও তার বিরুদ্ধে ভোটে কারুচুপির অভিযোগ করেছিলেন তার নিকটতম দুই প্রতিদ্বন্ধী। বিগত সরকারের সময়ে তিনি ও তার স্ত্রী মিলে ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি সহ নিকটতম বন্ধু-স্বজনদের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার সভাপতি বানিয়ে নিয়োগ বাণিজ্যের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার ঘটনা এখনো রাজারহাটের মানুষদের মুখে মুখে। মাদক সিন্ডিকেটের টাকা সহ ধর্ষণ পর্যন্ত বিভিন্ন মামলা আপোষ রফার মোড়ল হিসেবেও তিনি কামিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। ক্ষমতার অপব্যবহার করে অবৈধ টাকা উপার্জনের পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশে বিরোধি পক্ষকে স্বাধীনতা বিরোধি বলে আখ্য দিয়ে গালিগালাজ করলেও তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রবেশের পর থেকেই তার পরিচয় নিয়ে খোদ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যেই বিতর্ক ছিল।
রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম রেজা উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আক্তারুজ্জামান আবুনুরকে গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রাজারহাট থানায় ১টি মামলার ১নম্বর এজাহার ভূক্ত আসামী এবং পুলিশের বিশেষ ক্ষমতা আইনের মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কেকে/এমএস