পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত দুদিন ধরে সূর্যের দেখা নেই। হাড়কাঁপানো শীতে খেটে খাওয়া মানুষদের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। শীতবস্ত্রের অভাবে এবং শীতজনিত রোগে শিশুসহ বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকালে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্থানীয় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এই অবস্থা আরও তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বেলা পর্যন্ত হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।
দিনমজুর, জেলে, এবং ভ্যানচালকসহ খেটে খাওয়া মানুষরা শীতের কারণে কাজে যেতে পারছেন না। দিনমজুর ফোরদৌস বলেন, ঠান্ডার কারণে গত দুদিন কাজে যেতে পারিনি। প্রচণ্ড শীতে মাঠে দাঁড়ানোই যাচ্ছে না।
অটোভ্যান চালক কামাল জানান, ঠান্ডায় হাত-পা বরফ হয়ে যায়। বাধ্য হয়ে কাজ করতে বের হয়েছি, না হলে সংসার চালানো সম্ভব হবে না।
এদিকে, গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা প্রচণ্ড ঠান্ডা বাতাসের কারণে বিপদে পড়ছেন। জেলে জয়নাল বলেন, অভাবের সংসারে যত কষ্টই হোক, সাগরে যেতে বাধ্য হচ্ছি।
হতদরিদ্র মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। তবে পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করেছে। শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশুরা এবং বয়স্করা।
কেকে/এএম