ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় তিতাস নদীতে দেড় শতাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তি অবৈধভাবে জালের বেড়া দিয়ে মাছ শিকার করছেন। এ কারণে নৌযান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে এবং সাধারণ জেলেরা শিকারবঞ্চিত হচ্ছেন।
প্রতিবছরের মতো এবারও ডিসেম্বর মাস থেকে তিতাস নদীতে মাছ শিকারের নামে অবৈধভাবে জালের বেড়া দেওয়া শুরু হয়েছে। প্রায় ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ তিতাস নদীর দুই শতাধিক স্থানে এই জাল পাতা হয়েছে। বিশেষত তিতাস মোহনার ঢোলভাঙ্গা নদীর বিভিন্ন স্থানে আড়াআড়িভাবে ২৫০-৩০০ ফুট লম্বা জাল দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, নীলখী, সাহেবনগর, দুর্গারামপুর, এবং আছাদনগরের মতো এলাকার নদীপথে জালের বেড়ার কারণে নৌযান চলাচল প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। ফলে দুর্ঘটনাও ঘটছে।
সাধারণ জেলেরা জানায়, প্রভাবশালী ব্যক্তিরা নদীর সম্পদ দখল করে মাছ শিকার করলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। একজন জেলে বলেন, আমরা তো মাছ ধরতে পারি না। যারা টাকা-পয়সাওয়ালা, তারাই সব দখল করে নিয়েছে।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সাইদা ইসলাম জানান, নদীতে জালের বেড়া দিয়ে মাছ শিকার সম্পূর্ণ অবৈধ। বিষয়টি জেনেছি এবং খুব শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবুল মনসুর বলেন, নৌযান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা অপরাধ। মৎস্য কর্মকর্তার সঙ্গে আলোচনা করে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
কেকে/এএম