ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমদ আব্দুল কাইয়ূম বলেছেন, সংস্কার কাজ শেষ না করে যেনতেন নির্বাচনের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদকে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করার কোন সুযোগ নেই। কারো হুমকি-ধমকিকে পরওয়া না করে শক্তহাতে দেশ পরিচালনা করতে হবে।
তিনি বলেন, বিগত পতিত সরকারের প্রেতাত্মারা এখনও দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। শেখ হাসিনার রাজনীতি ছিল প্রতিশোধের রাজনীতি, লুটপাটের রাজনীতি। তিনি জাতিকে বিভক্ত করে এই জাতিকে শাসনের নামে শোষণের রাজনীতি করেছেন। কোনো অজুহাতে স্বৈরাচারী হাসিনা ও তার দোসরদের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেওয়া হলে বাংলাদেশের মানুষ মেনে নেবে না।
শনিবার ( ৪ জানুয়ারি ) বন্দর থানার কলাগাছিয়া ইউনিয়ন শাখা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আব্দুল কাইয়ূম বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার আমলে অনেকগুলো গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে। ২০০৯ সালে পিলখানা ট্র্যাজেডি, ২০১৩ সালে মতিঝিল শাপলাচত্বরে ঘুমন্ত হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের হত্যা করা হয়েছে। ২০১৪, ১৫, ১৬ সালে বিরোধী দলীয় অনেক নেতাকর্মীদের গুম-খুন-হত্যা করা হয়েছে। ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনকালে বাংলাদেশের মাটিতে নরেন্দ্র মোদীকে আনার ন্যাক্কারজনক সিদ্ধান্তের কারণে অনেককে হত্যা ও অনেক আলেম কারাবাস করতে হয়েছে।
সহকারী মহাসচিব বলেন, সর্বশেষ ২০২৪ সালে জুলাই-আগস্ট মাসজুড়ে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন দমন করতে গিয়ে বাংলাদেশের প্রায় দুই হাজার স্বাধীনতাকামী তরুণ-যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে। কাজেই এই গণহত্যার বিচার বাংলার মাটিতে হওয়ার পর নির্বাচন দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, কালো টাকা, পেশীশক্তিমুক্ত নির্বাচন এবং জাতীয় সরকার প্রতিষ্ঠায় সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনের বিকল্প নেই। তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর দাবি অনুযায়ি পিআর পদ্ধতির নির্বাচনের ব্যবস্থার দাবি জানান। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও সিন্ডিকেটমুক্ত বাজার সেইসাথে নতুনভাবে চলা চাঁদাবাজি, দখলবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ বন্ধে উপদেষ্টা সরকারকে কঠোর হওয়ার আহ্বান জানান।
সংগঠনের কলাগাছিয়া ইউনিয়ন শাখা সভাপতি মাওলানা আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী মুহাম্মদ শামিম (শামিনুর) এর সঞ্চালনায় গণসমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন দলের নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ দ্বীন ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমদ মুন্সি, যুবনেতা মাওলানা আব্দুর রশিদ, বন্দর থানা সভাপতি হাজী নজরুল ইসলাম মাস্টার, সেক্রেটারী মুহাম্মদ মাসুদ রানা, মুফতি বসির আহমদ নোমানী, মাওলানা মফিজুল ইসলাম, হাজী সাহাবুদ্দিন, হাজী জাকির হোসেন, মুফতি আখতার হোসাইন, আলকাস সরকার, হাজী আশেক আলী প্রমুখ।
কেকে/এইচএস