ফরিদপুরের ভাঙ্গায় টিকটক ভিডিও তৈরির প্রলোভন দেখিয়ে এক তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও নগ্ন ভিডিও ধারণের অভিযোগে এক ইউপি সদস্যের ছেলেসহ ৬ যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) গভীর রাতে ভাঙ্গার চুমুরদী ইউনিয়নের বাবলাতলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে পুলিশ অভিযুক্তদের আটক করে। এ সময় একটি মোবাইল থেকে ভুক্তভোগী তরুণীর নগ্ন ভিডিওর ফুটেজ উদ্ধার করা হয়। ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোকসেদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, অভিযুক্তরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, টিকটক ভিডিও তৈরির কথা বলে আকরাম হোসেন নামে এক যুবক ভুক্তভোগী তরুণীকে (২০) বোয়ালমারী থেকে ভাঙ্গায় ডেকে আনেন। এরপর আকরাম ও তার সহযোগীরা ওই তরুণীকে প্রথমে একটি বাড়িতে এবং পরে বাবলাতলা বাজারের পাশে একটি ভাড়া বাসায় আটকে রাখে। সেখানে তাকে ভয় দেখিয়ে এবং প্রলোভন দেখিয়ে বারবার ধর্ষণ করা হয়।
পরবর্তীতে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে চুমুরদী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. আনারুদ্দিনের ছেলেসহ কয়েকজন মিলে আকরাম ও তরুণীকে আটক করে। তরুণীর অভিযোগ অনুসারে, ওই রাতে ইউপি সদস্যের ছেলে ছাইদুলসহ আরও কয়েকজন তাকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে এবং চাঁদা দাবি করে।
ভাঙ্গা থানার ওসি জানিয়েছেন, এ ঘটনায় ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে। আটক যুবকদের পরিচয় যাচাই করা হচ্ছে এবং আইনগত প্রক্রিয়া শেষ হলে বিস্তারিত জানানো হবে।
এদিকে চুমুরদী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আনারুদ্দিন মোল্লা জানান, প্রথমে স্থানীয় সালিসের মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হয়। তবে তার ছেলের মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও ধারণের বিষয়ে জানতে চাইলে, সে বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
কেকে/এএম