কালের বিবর্তনে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় জাতীয় ফুল শাপলার দেখা মিলছে না বললেই চলে। ডোবা-নালা, খাল-বিল থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শাপলা ফুলের অপরূপ সৌন্দর্য। তবে চাম্বী লেকের মতো কিছু জায়গায় এই ফুল সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এক সময় বর্ষা ও শরতে খাল-বিল, জলাশয় আর ডোবা-নালায় ফুটে থাকা সাদা ও লাল শাপলার সমারোহ গ্রামীণ প্রকৃতিকে মোহনীয় করে তুলত। ১৫-২০ বছর আগেও লোহাগাড়ার বিভিন্ন জলাশয়ে শাপলা ফুলের দেখা মিলত। শিশু-কিশোররা সাঁতার কেটে শাপলা তুলে খেলার পাশাপাশি খাদ্য হিসেবেও ব্যবহার করত।
শাপলা শুধু সৌন্দর্য বাড়াতো না, এটি পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ। শাপলার ডাঁটা, শিকড় এবং শালুক খাদ্য হিসেবে বেশ জনপ্রিয় ছিল। শাপলার গাছ সাধারণত ১৫ থেকে ২০ ফুট লম্বা হয় এবং প্রাকৃতিকভাবে জলাশয়ে জন্মাত।
জলবায়ু পরিবর্তন, বন্যার অনিয়মিততা, এবং আবাদি জমিতে অতিরিক্ত কীটনাশক ও রাসায়নিক সার ব্যবহারের ফলে শাপলার প্রাকৃতিক প্রজনন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে নতুন শাপলার গাছ জন্মাতে পারছে না।
লোহাগাড়ার চাম্বী লেক এলাকায় এখনো শাপলা ফুল দেখা যায়। চাম্বী খাল পানি ব্যবস্থাপনা সমবায় সমিতির সভাপতি মাহবুবুর রহমান চৌধুরী জানান, শাপলা সংরক্ষণের জন্য বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। চাম্বী লেককে আকর্ষণীয় করতে এবং মানুষের ক্লান্তি দূর করতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে প্রাধান্য দিয়ে শাপলার প্রজনন অব্যাহত রাখা হচ্ছে।
কেকে/এএম