আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেছেন, ভারত সবসময় আমাদের কবজা করতে চায়। তাদের বিষয়ে আমাদের জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতে হবে। যারা ভারতের ব্যাপারে নমনীয় ভাব দেখাবে, আমরা তাদের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামব।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) বিকাল ৩ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি অডিটোরিয়ামে সেন্টার ফর বেঙ্গল স্টাডিজের (সিবিএস) আয়োজনে ‘ভারতীয় আধিপত্য, বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও জুলাই গণঅভ্যুত্থান’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এই কথা বলেন।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম শাহীদুজ্জামান ও আবরার ফাহাদের ভাই ফারহান ফাইয়াজ।
মাহমুদুর রহমান বলেন, তিনি বলেন, ভারত সারা দক্ষিণ এশিয়ায় প্রভুত্ব কায়েম করতে চায়। গত ৭৭ বছরে তারা এই চাওয়া বাস্তবায়ন করতে চেষ্টা করেছে। ২০০৮ সালের ভারতের পরিকল্পনাতেই শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসেছে। শেখ হাসিনা অজনপ্রিয় জেনেও সমর্থন দিয়েছে। গত ১৫ বছর তাদের পরিকল্পনায় বাংলাদেশে ভারতীয় ফ্যাসিবাদ বিকশিত হয়েছে। ভারতের ব্যাপারে যারা নমনীয় ভাব দেখাবে, আমরা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব।
তিনি বলেন, আমাদের নিরাপত্তার জন্য মিলিটারি ট্রেনিং বাধ্যতামূলক করতে হবে। এইচএসসির পর এটি করা যেতে পারে। আমরা পাইলট প্রজেক্টের মাধ্যমে এটি শুরু করতে পারি। এটা শুরু করতে পারলে ভারতের হৃদকম্পন শুরু হয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, সংখ্যালঘু ইস্যুতে ভারতের কথা বলার অধিকার নেই। নেপালের হিন্দুরা যদি ভারতীয় হিন্দুদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে পারে,বাংলাদেশের হিন্দুরা কেন পারবে না। বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রশ্নে আমরা ঐক্যবদ্ধ এবং অসাম্প্রদায়িক। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত সবাইকে রাজপথে থাকতে হবে।
অধ্যাপক এম শাহীদুজ্জামান বলেন, এই বিপ্লব না হলে দু-তিন দিনের মধ্যে আখাউড়ার রেল সড়ক চালু হয়ে যেতো। চালু হলে ভারত অন্তত একটা সামরিক ডিভিশন বাংলাদেশে রাখতো। একবার যদি ভারতের সামরিক বাহিনী দেশে চলে আসতো আমরা কখনোই তাদের প্রতিরোধ করতে পারতাম না।
তিনি বলেন, পাকিস্তান বিরোধী প্রচারণা ছিল ভারতের পরিকল্পিত। খুব দ্রত চীন ও পাকিস্তানের সাথে আমাদের সম্পর্ক উন্নয়ন করতে হবে। তাদের সাহায্যে আমাদের নিরাপত্তার মেরুদন্ড মজবুত করতে হবে। ভারতকে ভেঙ্গে দেওয়াই আমাদের অস্তিত্বের জন্য নিরাপদ।
‘উলফাকে’ আমাদের জাতীয় অস্তিত্বের জন্য টিকিয়ে রাখা গুরুত্বপূর্ণ। পাকিস্তানের সহায়তায় দেশে পারমানবিক অস্ত্র রাখাও জরুরী বলে জানান তিনি।
কেকে/এজে