দেশের সবচেয়ে বড় যমুনা নদীর ওপর নির্মিত রেলওয়ে সেতু দিয়ে ৮০ কিলোমিটার গতিতে চললো ট্রেন। আজকেই ট্রেন ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার গতিতে চলবে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (৫ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রথম পরীক্ষামূলক ট্রেন দুটি সফলভাবে সেতু অতিক্রম করেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে যমুনা রেলওয়ে সেতুর চিফ সাইট ইঞ্জিনিয়ার মো. মাইনুল ইসলাম বলেন, রবিবার সকালে পরীক্ষামূলকভাবে পূর্ণ গতিতে ট্রেন চলবে। এরই অংশ হিসেবে প্রথমে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার গতিতে দুটি ট্রেন সেতুর পূর্ব পাড় থেকে পশ্চিম পাড়ে ও পশ্চিম পাড় থেকে পূর্ব পাড়ে ছেড়ে যায়। এরপর ১০টা ২০ মিনিটের দিকে দ্বিতীয়বার ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার গতিতে দুই পাশ থেকে ট্রেন দুটি সেতু অতিক্রম করে।
এরপর ১১টা ১ মিনিটে একটি ট্রেন সেতু পশ্চিম পাড় থেকে ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার গতিতে সেতুতে ওঠে ও ১১টা ৫ মিনিটে পূর্ব পাড় থেকে ছেড়ে আসা ট্রেনটি পশ্চিম পাড়ের সেতুর শেষ অংশ অতিক্রম করে। এভাবে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার গতিতে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলবে আজ।
ইঞ্জিনিয়ার মাইনুল ইসলাম বলেন, আমরা সবাই অধীর আগ্রহে সেই পূর্ণ গতির অপেক্ষায় আছি। সত্যি বলতে গেলে আমরা খুব আনন্দিত এবং উত্তেজিতও বলা যায়। কয়েকটা বছর জুড়ে আমাদের এত বড় টিমের বিশাল কর্মযজ্ঞের পর আজ এর পূর্ণতা পেল। দেশের সর্বোচ্চ গতিতে ট্রেন চলবে এখানে। এটা আমাদের জন্য মাইলফলক।
প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের আগস্ট মাসে ৯ হাজার ৭৩৪ দশমিক ৭ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। পরবর্তী সময়ে এ ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৭৮০ দশমিক ৯৬ কোটি টাকা। যার ১২ হাজার ১৪৯ দশমিক ২ কোটি টাকা জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ হিসেবে দিয়েছেন। এই প্রকল্পের মূল নির্ধারিত সময় ছিল জুলাই ২০১৬ থেকে ডিসেম্বর ২০২৩। কিন্তু প্রথম সংশোধনে এ সময়সীমা ডিসেম্বর ২০২৪ এ স্থানান্তরিত করা হয়। এর আগে ২০১৬ সালের ৬ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) প্রকল্পটি অনুমোদন দেয়।
কেকে/এআর