ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ সরকারের সংস্কার প্রক্রিয়ার ধীরগতি এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন, রাষ্ট্রের মৌলিক বিষয়ে সংস্কারে এত ধীরগতি কেন? অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কি কাউকে ভয় পাচ্ছে? না-কি সংস্কার শুধু একটি ফ্যান্টাসি?
শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় রাজধানী উত্তরের ভাটারাস্থ নগর কার্যালয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের মাসিক ও যৌথ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা ফজলে বারী বলেন, সংস্কারের জন্য জনগণ তখনই ধৈর্য ধরতে প্রস্তুত হবে, যখন এর পুরো পরিকল্পনা স্বচ্ছ এবং পরিষ্কার হবে। কিন্তু এখন অনেক ক্ষেত্রেই সংস্কার প্রক্রিয়ায় অস্পষ্টতা দেখা যাচ্ছে। এটি কি স্রেফ শঠতার আরেক নাম, না-কি ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসনের জন্য সময়ক্ষেপণ?
তিনি আরও অভিযোগ করেন, স্বৈরাচারের প্রতি নমনীয়তা, বিচার প্রক্রিয়ায় অলসতা, এবং অপরাধীদের পুনর্বাসনে সরকারের আগ্রহ স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান।
মাওলানা ফজলে বারী দেশের সাম্প্রতিক বিভিন্ন অপরাধমূলক ঘটনার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, মানুষ হত্যা, সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড, এবং জাহাজে সাত খুনের মতো ঘটনাগুলো রহস্যে ঘেরা। এসব রহস্যের পেছনে আইনশৃঙ্খলার অবনতি স্পষ্ট। পতিত জুলুমবাজরা তাদের বিষদাঁতের ছোবল দিয়ে অবস্থান জানান দিচ্ছে। নাকি যাদের আশ্রয়ে তারা রয়েছে, তারাই এসব ঘটনার মূল কারিগর? সরকারকে এটি পরিষ্কার করতে হবে।
সভায় নগর উত্তর সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মদ আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আরও উপস্থিত ছিলেন, সহ-সভাপতি মুফতী অলিউল্লাহ, মাওলানা নুরুল ইসলাম নাঈম, আলহাজ্ব এম হাসমত আলী, ইঞ্জিনিয়ার মুরাদ হোসেন, মুফতী ফরিদুল ইসলাম, মুফতি মো. মাছউদুর রহমান, ডা. মুজিবুর রহমান, মুফতি নিজাম উদ্দিন, শরিফুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন পরশ, অ্যাডভোকেট মোস্তফা আল মামুন মনির, মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার অব. আমিনুল হক তালুকদার, মুফতী সিরাজুল ইসলাম, রাকিবুল হাসান, মুহাম্মদ নাজমুল হাসান প্রমুখ।
কেকে/এএম