পোষ্য কোটাকে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা দাবি করে তা বাতিলের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) বেলা ১১টায় ‘কর্মকর্তা, সহায়ক কর্মচারী, সাধারণ কর্মচারী ও পরিবহন কর্মচারী সমিতি’র ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
মানববন্ধন রাবি অফিসার সমিতির কোষাধ্যক্ষ মাসুদ রানা বলেন, গত ১৫ বছরে হইতো আমরা আন্দোলন সফল করতে পারিনি, কিন্তু জুলাই বিপ্লবে শিক্ষার্থীদের সাথে আমরাও সবসময় আন্দোলনে অংশ নিয়েছি। যে আন্দোলনের কারণে আমরা ঘর ছাড়া ছিলাম, জেল খেটেছি, এমনকি এখন পর্যন্ত সেই আন্দোলনের আসামি। সেই আন্দোলনের ফলাফলই আজকের এই বাংলাদেশ। আমাদের সন্তানেরা ন্যূনতম যোগ্যতা নিয়েই ভার্সিটিতে ভর্তি হয়। আমরা যদি লক্ষ্য করি ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষে যেখানে মাত্র ৭৮ জন ভর্তি হয়েছে প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা নিয়ে। কিন্তু আমাদের শিক্ষার্থীরা বলেছে, হাজার হাজার শিক্ষার্থী নাকি এই প্রাতিষ্ঠানিক সুবিধা নিয়ে ভর্তি হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই ধরনের অযৌক্তিক কথা কথাবার্তা বলে আমাদের প্রশাসন ভবনে তালা দিয়ে আটকে রাখা কতটুকু যৌক্তিক তা আমার জানা নেই। ২ তারিখ সারাটা দিন আমাদের যেভাবে আটকে রেখেছে, খেতে পারিনি, অনেকে অসুস্থ হয়ে গিয়েছিল, এভাবে কষ্ট দিয়ে আটকে রেখে দাবি আদায় করা আমরা কখনোই সমর্থন করি না। এখন আমাদের প্রশাসনের কাছে দাবি যতদ্রুত সম্ভব আমাদের ন্যায্য অধিকার আমাদের ফিরিয়ে দিতে হবে।
অফিসার সমিতির সভাপতি মোক্তার হোসেন বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক অধিকার ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন চলবে, প্রশাসন ভবনের পশ্চিম পাশে আগামীকাল মঙ্গলবার ২ ঘন্টা অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। এবং পরের দিন (৮ জানুয়ারি) দিনব্যাপী আন্দোলন কর্মসূচি পালন করা হবে। এরপরও দাবি না মানা হলে আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো আমরা।
মানববন্ধনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকশ কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গতবছরের ১৪ নভেম্বর ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞাপ্তি প্রকাশের পর থেকেই পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করে আসছিলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এতে রাবি প্রশাসন ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের সন্তানের কোটা বাতিল করে কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য ১% কোটা রাখে। তবে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে শেষ পর্যন্ত গত ২ জানুয়ারি পোষ্য কোটা পুরোপুরি বাতিল ঘোষণা করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
কেকে/এএম