পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে উৎপাদনে যাচ্ছে। পরীক্ষামূলক কাজ শেষ হওয়া এ কেন্দ্রটি চালু হলে দেশের বিদ্যুৎ চাহিদার ১০ শতাংশ পূরণ করবে।
পটুয়াখালী তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের উৎপাদন শুরু হলে ৬৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হবে জাতীয় গ্রিডে। দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদন শুরু হবে জুন মাসে। পুরো প্রকল্পটি চালু হলে মোট উৎপাদন হবে ১৩২০ মেগাওয়াট। ইতোমধ্যে প্রথম ইউনিটের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও কমিশনিং সম্পন্ন হয়েছে।
২০১৯ সালে পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার লোন্দা গ্রামে এই তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। তবে বিভিন্ন জটিলতার কারণে ২০২৪ সালে এসে উৎপাদন শুরু হচ্ছে।
তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আশরাফ উদ্দিন জানান, ট্রান্সমিশন লাইন থেকে কয়লা পরিবহন জেটি পর্যন্ত সব কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। আপাতত পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু হলেও বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে মার্চ মাসে।
তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) শওকত ওসমান বলেন, কেন্দ্রের উৎপাদন সচল রাখতে এক লাখ ২৫ হাজার টন কয়লা মজুত করা হয়েছে। এ মাসে আরও এক লাখ ৬৫ হাজার টন কয়লা পৌঁছানোর কথা রয়েছে। কেন্দ্রটি থেকে উৎপাদিত প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম পড়বে ৯ টাকা।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের টিপিসি (কর্মাশিয়াল) ম্যানেজার মি. ইয়াং জানান, এটি অত্যাধুনিক আলট্রা সুপারক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্মিত হয়েছে। আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করায় পরিবেশের ওপর এর ক্ষতিকর প্রভাব থাকবে খুবই কম।
বর্তমানে দেশের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর সক্ষমতা ৫,৯৯২ মেগাওয়াট। পটুয়াখালী তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র পুরোপুরি চালু হলে এই সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে হবে ৭,৩১২ মেগাওয়াট।
কেকে/এএম