দুর্বার রাজশাহীর বিপক্ষে জয় দিয়ে এবারের আসর শুরু করেছিল ফরচুন বরিশাল। তবে পরের ম্যাচে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে হারে তামিম ইকবালের দল। তবে রাজশাহীকে সামনে পেয়ে আবারও আধিপত্য বিস্তার করল ফরচুনরা। বিশেষ করে তামিম এদিন ব্যাট হাতে প্রতিপক্ষ বোলারদের শাসন করেছেন। অধিনায়কের দুর্দান্ত ফিফটিতে আবারো জয়ে ফিরল বরিশাল।
সিলেটে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান সংগ্রহ করেছে রাজশাহী। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৯ রান করেছেন বিজয়। জবাবে খেলতে নেমে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৭ ওভার ৩ বলেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বরিশাল। দলের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৮৬ রান করেছেন তামিম।
১৬৯ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি বরিশালের। ৯ বলে ৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন প্রীতম কুমার। এই ওপেনারের দ্রুত বিদায়ে দলের হাল ধরেন তামিম। তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন কাইল মেয়ার্স। এই ক্যারিবিয়ান ১১ বলে করেছেন ২৪ রান।
চারে নেমে আজও ব্যর্থ তাওহিদ হৃদয়। রান খরায় ভুগতে থাকা এই ব্যাটার আজ ১৪ বলে করেছেন ১৩ রান। তবে এরপর মুশফিককে সঙ্গে নিয়ে অবিচ্ছিন্ন ৭৬ রানের জুটি গড়েন। তাতে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় বরিশাল। তামিম অপরাজিত থেকেছেন ৪৮ বলে ৮৬ রান। আর মুশফিকের ব্যাট থেকে এসেছে অপরাজিত ৩৪ রান।
এর আগে গত দুই ম্যাচে সুবিধা করতে না পারা জিশান আজ ভালো শুরু পেয়েছিলেন। আরেক প্রান্তে মোহাম্মদ হারিসও বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। তাতে উদ্বোধনী জুটিতে ভালো শুরু পায় রাজশাহী। হারিস ২২ রান করে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে ৩০ রানের উদ্বোধনী জুটি।
দারুণ শুরু করা জিশান থেমেছেন ৩৮ রানে। ২২ বলের এই ইনিংসে সমান ৩টি করে চার ও ছক্কা মারেন এই তরুণ ব্যাটার। এরপর ইয়াসির আলিও জিশানের পথে হেটেছেন। উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২৩ বলে ৩৭ রান করেছেন তিনি।
এক প্রান্তে ইয়াসির-জিশান আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করলেও আরেক প্রান্তে ধীরগতির ব্যাটিং করেছেন বিজয়। সময়ের সঙ্গে গিয়ার পরিবর্তন করতে পারেননি তিনি। অধিনায়ক ৩৫ বলে ৩৯ রানে আউট হয়েছেন। তার এমন ইনিংসের কারণেই বড় সংগ্রহের দিকে এগোতে পারেনি দল।
কেকে/এজে