বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি ২০২৫,
২৬ পৌষ ১৪৩১
বাংলা English

বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি ২০২৫
শিরোনাম: লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হলেন খালেদা জিয়া      রাজউকের প্লট নিয়ে শেখ হাসিনার পরিবারের ক্ষমতা অপব্যবহারের প্রমাণ পেয়েছে দুদক      রাফির অ্যাকাউন্টে ৩২ কোটি টাকা লেনদেনের খবর, যা বললেন হাসনাত      রংপুরে ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণ করা এসপি শাহজাহানের শাস্তি দাবি      জুলাই বিপ্লবের প্রেরণা নিয়ে বৈষম্যবিহীন রাষ্ট্র চাই: সারজিস      দাবানলে পুড়ছে যুক্তরাষ্ট্র, জরুরি অবস্থা জারি      মোবাইল-মানিব্যাগ নিজ দায়িত্বে রেখে পুলিশকে সহযোগিতার অনুরোধ      
গ্রামবাংলা
‘শেখ হাসিনা ভারতের বিপক্ষে লড়ার চেষ্টা করেনি’
সুজন মাহমুদ, রাজীবপুর (কুড়িগ্রাম)
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারি, ২০২৫, ১২:৫৫ পিএম আপডেট: ০৭.০১.২০২৫ ১২:৫৯ পিএম  (ভিজিটর : ১১৬)
বিএসএফের গুলিতে নিহত ফেলানীর বাবা ও মা ।  ছবি: প্রতিনিধি

বিএসএফের গুলিতে নিহত ফেলানীর বাবা ও মা । ছবি: প্রতিনিধি

‘অনেকবার মেয়ে ফেলানী হত্যার বিচারের দাবি জানিয়েছি। কিন্তু কোনো ফল পাইনি। শেখ হাসিনা সরকার ভারতের বিপক্ষে লড়ার চেষ্টা করেনি। বর্তমান সরকারের কাছে আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই। মরার আগে বিচার দেখে যেতে চাই।’

এই আকুতি কুড়িগ্রামের সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে নিহত ফেলানীর মায়ের। ১৪ বছর পেরিয়ে গেলেও এ হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়নি। আজ ৭ জানুয়ারি, ফেলানী হত্যার ১৪তম বার্ষিকী। ভারতের আদালতে বিচার ঝুলে থাকায় হতাশ ফেলানীর পরিবার। তবু তারা এখনো ন্যায়বিচারের অপেক্ষায়।

২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি, কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে বাবার সঙ্গে কাঁটাতারের বেড়া পার হওয়ার সময় বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে নির্মমভাবে নিহত হন বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী খাতুন। তার মরদেহ দীর্ঘ সময় কাঁটাতারে ঝুলে ছিল। সেই ছবি দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।

২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতের কোচবিহারের বিএসএফের বিশেষ আদালতে এ হত্যার বিচার শুরু হলেও অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে দু’দফায় বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। পরে ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম ভারতের উচ্চ আদালতে রিট পিটিশন দাখিল করেন। কিন্তু বিচার প্রক্রিয়া এখনো ঝুলে আছে।

ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম বলেন, ‘১৪ বছর হয়ে গেল, কিন্তু এখনো কোনো বিচার পাইনি। ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছি। কয়েকবার শুনানির তারিখ দেওয়া হলেও তা পিছিয়ে গেছে। কিছুদিন আগে শুনলাম শুনানি হবে, কিন্তু তারিখ এখনো পাইনি। আওয়ামী লীগ সরকারের কারণে ফেলানী হত্যার বিচার আটকে আছে। মরার আগে মেয়ে হত্যার বিচার দেখে যেতে চাই।’

একই আকুতি জানিয়েছেন ফেলানীর মা জাহানারা বেগম। তিনি বলেন, ‘অনেকবার মেয়ে হত্যার বিচার চেয়েছি, কিন্তু কোনো ফল পাইনি। শেখ হাসিনা সরকার ভারতের বিপক্ষে লড়ার চেষ্টা করেনি। বর্তমান সরকারের কাছে আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে মেয়ে হত্যার বিচার চাই। মরার আগে বিচার দেখে যেতে চাই।’

স্থানীয়দের মতে, ফেলানী হত্যার সুষ্ঠু বিচার হলে সীমান্ত হত্যার ঘটনা কমে আসত। কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপি আইনজীবী ফোরামের সভাপতি ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘ভারতের সুপ্রিম কোর্টে দাখিল করা রিট পিটিশনের শুনানি এখনো হয়নি। অভিযুক্তকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হলে সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা কমে আসত।’

ফেলানী ছিলেন কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার রামখানা ইউনিয়নের কলনিটারী গ্রামের নুর ইসলাম ও জাহানারা দম্পতির আট সন্তানের মধ্যে সবচেয়ে বড়। পরিবারের অভাব-অনটন দূর করতে তারা ভারতে গিয়েছিলেন। দেশে ফেরার সময় দালালের মাধ্যমে সীমান্ত পার হওয়ার সময় নির্মম এই হত্যাকাণ্ডের শিকার হন ফেলানী।

কেকে/এমএস
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

ইসলামী আন্দোলন হবিগঞ্জ জেলার নেতৃত্বে পুনরায় সোহেল—শামছুল হুদা
লোহাগাড়া ইসলামি ছাত্র মজলিসের শর্টপিচ ক্রিকেট টুর্নামেন্ট সম্পন্ন
লামায় গলায় ফাঁস দিয়ে গৃহবধূর আত্মহত্যা
বিষাক্ত শীতলক্ষ্যার কাছে যেতেও ভয় পায় মানুষ: ডিসি মাহমুদুল হক
বৈশ্বিক পাসপোর্ট সূচকে ফিলিস্তিনের সঙ্গী বাংলাদেশ

সর্বাধিক পঠিত

রাতে জ্বলে না সড়ক বাতি, নিরাপত্তার ঝুঁকিতে পৌরবাসী
রাফির অ্যাকাউন্টে ৩২ কোটি টাকা লেনদেনের খবর, যা বললেন হাসনাত
‘শহিদদের স্বপ্নের ক্যাম্পাস গড়ুন অথবা দায়িত্ব ছেড়ে দিন’
নিয়ামতপুরে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন
নীলসাগর গ্রুপের আয়োজিত এসপিএল ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন শাহীপাড়া ক্যাপিটালস

গ্রামবাংলা- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2024 Kholakagoj
🔝