বাঙালির ঐতিহ্যবাহী পিঠা উৎসব ও বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা উদযাপিত হয়েছে শেরপুরে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকালে শহরের সজবরখিলা এলাকার শাহীন ক্যাডেট স্কুল প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ পিঠা উৎসব যেন এক মিলনমেলায় পরিণত হয়। পিঠার বাহারি স্বাদ আর গন্ধে মুখরিত ছিল পুরো আয়োজন। প্রায় দেড় শতাধিক বিভিন্ন স্বাদের পিঠার নয়টি স্টলে উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়।
এক সময় ঘরে ঘরে তৈরি হতো ভাপা, পুলি, চিতই, তেলের পিঠাসহ নানা ধরণের দেশীয় পিঠা। তবে আধুনিকতার ছোঁয়ায় ও রেসিপি-সংস্কৃতির পরিবর্তনের কারণে ঘরে তৈরি পিঠার প্রচলন কিছুটা কমে এসেছে। এই অবস্থায় শাহীন ক্যাডেট স্কুলের পিঠা উৎসব দেশীয় ঐতিহ্য ধরে রাখতে অনন্য ভূমিকা রাখছে।
উৎসবে শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শহরের নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন। তারা বাহারি পিঠা চেখে দেখেন, ক্রয় করেন এবং অনেকেই কিনে বাড়িতে নিয়ে যান। শিক্ষার্থীরা পিঠা খাওয়ার পাশাপাশি বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে আড্ডায় মেতে ওঠে। পিঠার স্বাদে, উৎসবের আনন্দে পুরো আয়োজনটি প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে।
পিঠা উৎসবের সঙ্গে যুক্ত হয় সাম্প্রতিক আয়োজিত মেধাবৃত্তি পরীক্ষার বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা এবং পুরস্কার প্রদান করা হয় ।
পিঠা উৎসবের সাথে নানা আয়োজনের অংশ হিসেবে অন্যতম বিশেষ আকর্ষণ ছিল লটারি কুপন। প্রতিটি স্টল থেকে কমপক্ষে ২০ টাকার পিঠা কিনলে একটি কুপন দেয়া হয়। এ কুপনের বিজয়ীদের জন্য ছিল এলইডি টেলিভিশনসহ নানা আকর্ষণীয় পুরস্কার।
শাহীন শিক্ষা পরিবারের চেয়ারম্যান মোহাম্মাদ মাসুদুল আমিন শাহীন জানান, প্রতি বছরই আমরা এ পিঠা উৎসব আয়োজন করে থাকি। এবারের উৎসবটি বিগত বছরের তুলনায় বেশি সাড়া ফেলেছে। ভবিষ্যতে এই ঐতিহ্য ধরে রাখার পাশাপাশি আরও বড় পরিসরে আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়াও বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা আমাদের আয়োজনকে আরও বিশেষ করে তুলেছে।
পিঠা উৎসব ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানটি দেশীয় সংস্কৃতিকে তুলে ধরার পাশাপাশি মেধাকে স্বীকৃতি প্রদান এবং পরিবার-পরিজন ও বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে আনন্দ ভাগাভাগির একটি মঞ্চ হয়ে উঠে। আয়োজকদের মতে, এমন উৎসব শুধুমাত্র ঐতিহ্য ধরে রাখাই নয়, বরং সামাজিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করতে সহায়তা করে।
কেকে/এএম