চট্টগ্রামের রাউজানে আমন ধান ঘরে তোলার পর কৃষকরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন বোরো ধানের বীজতলা তৈরিতে। আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যে পুরোদমে বোরো ধানের চারা রোপণ শুরু হবে। সেচপাম্প মালিকরাও সেচ প্রকল্প চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন।
উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সরেজমিনে দেখা গেছে, কৃষক-শ্রমিকরা কেউ জমিতে হাল চাষ দিচ্ছেন, কেউ সেচের জন্য ড্রেন নির্মাণ করছেন, আবার কেউ বীজতলা থেকে চারা তুলতে ব্যস্ত। এছাড়া জমি সেচ দিয়ে ভিজিয়ে রাখা, আইল বাঁধা, এবং বীজতলা সমান করার কাজ চলছে পুরোদমে।
ইয়াছিন নগর গ্রামের কৃষক মোহাম্মদ আফছার জানান, তিনি ৪ একর জমিতে ইরি-বোরো চাষের জন্য বীজতলা তৈরি শুরু করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বীজতলার চারা গাছ সবুজে ভরে উঠেছে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই বীজতলা থেকে চারা তুলে বীজ বপন করবেন।
পৌর এলাকার কৃষক এসকান্দর বলেন, তিনি ২ একর ৪০ শতক জমিতে বোরো ধানের চারা রোপণ শুরু করেছেন।
রাউজান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাসুম কবির জানান, এ বছর উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকায় ৫ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ১০০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান রোপণ সম্পন্ন হয়েছে।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে সঠিকভাবে ধান চাষের দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন। কৃষকদের উচ্চ ফলনশীল জাতের ধান চাষে উৎসাহিত করা হচ্ছে এবং সরকারি প্রণোদনা প্রদান করা হচ্ছে।
কৃষি বিভাগ আরও জানিয়েছে, ঘন কুয়াশায় বীজতলার চারাগাছের ক্ষতি এড়াতে প্রয়োজনীয় পরিচর্যার দিক নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। ধান চাষের মাধ্যমে কৃষকরা যাতে আর্থিকভাবে লাভবান হন, সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
কেকে/এএম