ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার ২৯তম আসরের সপ্তম দিনে দর্শনার্থীদের উপস্থিতি কিছুটা বাড়লেও পণ্যের মান ও মূল্যের বিষয়ে ক্রেতাদের অসন্তোষ অব্যাহত রয়েছে। তবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে এখনো কোনো জরিমানা বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
মেলায় ঘুরে দেখা গেছে, দৃষ্টি নন্দন ভবন এবং উন্মুক্ত পরিবেশ দর্শনার্থীদের আনন্দ দিয়েছে। কিন্তু মেলায় থাকা নিম্নমানের পণ্য এবং অতিরিক্ত দাম নিয়ে অনেকেই হতাশা প্রকাশ করেছেন।
মেলার ভৌগোলিক অবস্থান রূপগঞ্জের পূর্বাচল এলাকায় হলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের অংশগ্রহণ তুলনামূলক কম। কাঞ্চন বাজারের ব্যবসায়ী ইলিয়াস মিয়া বলেন, বাড়ির পাশেই মেলা, এটি গর্বের বিষয়। কিন্তু পণ্যের মান খুবই খারাপ, আর দাম অনেক বেশি। এতে মেলার শুরুতেই অনেকের অসন্তোষ দেখা যায়।
চিটাগাং রোড এলাকা থেকে আসা গৃহিণী দিপালী সিকদার বলেন, মেলায় ফুটপাতে যেমন হাঁকডাক করে পণ্য বিক্রি করা হয়, সেটা বিব্রতকর। তবে শিশু ও তরুণদের জন্য বিনোদনের আয়োজন ভালো লেগেছে।
মেলার ভেতরে এবং বাইরে থাকা পণ্যের মান একই ধরনের, যা অনেক দর্শনার্থীর নজর এড়ায়নি। খাবারের মান নিয়েও অনেকে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের নারায়ণগঞ্জ জেলা সহকারী পরিচালক হৃদয় রঞ্জন বণিক বলেন, আমরা প্রতিদিন মেলায় কাজ করছি এবং প্রাথমিক পর্যায়ে সংশোধনের সুযোগ দিচ্ছি। এখনো কোনো অভিযোগের ভিত্তিতে জরিমানা আদায়ের ঘটনা ঘটেনি।
এবার মেলায় প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন ও প্রিমিয়ার মিনি প্যাভিলিয়ন মিলিয়ে ১০০টি স্টল রয়েছে। বিদেশি প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ৮টি। ভারত, পাকিস্তান, ইরান, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য প্রদর্শন করছে।
মেলার তথ্যকেন্দ্র জানিয়েছে, মেলার মূল উদ্দেশ্য রপ্তানি বৃদ্ধি এবং দেশীয় পণ্য আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরা। তবে মেলা জমতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কেকে/এএম