চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় জব্দকৃত বালু নিলাম নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের ব্যাপক কারসাজির অভিযোগ উঠেছে। জব্দকৃত ৩ লাখ ৫৩ হাজার ঘনফুট বালু মাত্র ৯৩ হাজার ঘনফুট দেখিয়ে গোপনে নিলাম দেওয়া হয়েছে। উপজেলার পুটিবিলা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের তিন স্থানে এই বালুগুলো নিলাম দেওয়া হয়।
রোববার (৫ জানুয়ারি) বিকালে সরেজমিনে গিয়ে পরিমাণে কম দেখানোর সত্যতা পাওয়া গেছে। জানা যায়, প্রায় এক বছর পূর্বে বিভিন্ন খাল ও ছড়া থেকে অবৈধভাবে বালুগুলো উত্তোলন করা হয়। উত্তোলিত বালু ওই সময় জব্দও করা হয়েছিল। কিন্তু বর্ষায় পরিবহণ ব্যবস্থা না থাকায় বালুগুলো নিলাম ডাকার পরও কেউ অংশগ্রহণ করেনি। সম্প্রতি উপজেলা প্রশাসনের লোকজন গোপনে এসব বালু ফরহাদুল ইসলাম নামে ব্যক্তিকে নিলাম দেন।
তিন স্থানের মধ্যে বাবুল বাজারের মাদার বর চর এলাকায় ৫টি স্তুপে ২ লাখ ৫০ হাজার ঘনফুট, কবির চৌকিদারের বাড়ির পাশে একটি স্তুপে ৫৩ হাজার ঘনফুট ও দরগা ঘাট সেগুন বাগিচা এলাকায় একটি স্তুপে ৫০ হাজার ঘনফুট সর্বমোট ৩ লাখ ৫৩ হাজার ঘনফুট বালু ছিল। কিন্তু স্থানীয়দের অভিযোগ-সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগসাজসে ওইসব বালু ৯৩ হাজার ঘনফুট দেখিয়ে নিলাম দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।
লোহাগাড়া উপজেলা উপজেলা নির্বাহী নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের নাজির তেজন্দ্র বাবু জানান, গত ২০ ডিসেম্বর পুটিবিলার বাবুল বাজারের মাদার বর চর এলাকায় ৫৩ হাজার ঘনফুট, কবির চৌকিদারের বাড়ির পাশে ২০ হাজার ঘনফুট ও দরগা ঘাট সেগুন বাগিচা এলাকায় ২০ হাজার ঘনফুট সর্বমোট ৯৩ হাজার ঘনফুট বালু প্রতি ফুট ৬ টাকা দামে নিলাম নেয় ফরহাদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। আগামী ১৫ জানুয়ারি নিলামের মেয়াদ শেষ হবে। এছাড়া পরিমাণে কম দেখিয়ে বালু নিলাম দেয়ার বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি ইউএনওর সাথে এই ব্যাপারে কথা বলতে বলেন।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইনামুল হাছান জানান, যারা স্পটে গিয়ে পরিমাপ করেছেন, তাদের দেওয়া পরিমাণ মতে বালু নিলাম দেওয়া হয়েছে। নিলামে দেওয়া বালুগুলো পূণরায় পরিমাপ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কেকে/এএম