মাত্র ১২৬ রানের লক্ষ্য। এই সহজ লক্ষ্য পেরোতে ফরচুন বরিশালের লাগল মাত্র ৬৩ বল। তাওহিদ হৃদয় আর কাইল মায়ার্সের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে বরিশাল সিলেট স্ট্রাইকার্সকে হারাল ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
ছোট লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বরিশাল। প্রথম ওভারেই তামিম ইকবাল গোল্ডেন ডাকে (১ বলে ০) আউট হন। পরের ওভারে নাজমুল হোসেন শান্তও ফেরেন (৩ বলে ৪)। তবে এরপর দলের দায়িত্ব নেন তাওহিদ হৃদয় আর কাইল মায়ার্স।
হৃদয় ২৭ বলে ৪৮ রানের দারুণ ইনিংস খেলে আউট হলেও মায়ার্স ছিলেন অপরাজিত। মাত্র ৩১ বল খেলে ৫৯ রান করেন ক্যারিবীয় এই অলরাউন্ডার। তার ইনিংসে ছিল ৫টি চার আর ৪টি ছক্কা। দুইজনের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ১০.৩ ওভারেই জয় নিশ্চিত করে বরিশাল।
এর আগে, টস হেরে ব্যাট করতে নেমে সিলেট স্ট্রাইকার্সের ইনিংস গুটিয়ে যায় মাত্র ১২৫ রানে। ইনিংসের শুরুতেই রনি তালুকদার শূন্য রানে আউট হন। রাহকিম কর্নওয়াল ১২ বলে ১৮ রান করে আউট হলেও, মাঝের সারির ব্যাটাররা বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন।
জর্জ মুনসে (১৩ বলে ২৮) এবং জাকির হাসান (২৬ বলে ২৬) মিলে কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও, দলটি ১৩ রানের ব্যবধানে ৬ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে। শেষদিকে অধিনায়ক আরিফুল হক ২৯ বলে ৩৬ রানের লড়াকু ইনিংস খেললেও, তা সিলেটের লজ্জা এড়ানোর জন্য যথেষ্ট ছিল না।
বরিশালের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে একের পর এক উইকেট হারায় সিলেট। জাহানদাদ খান এবং রিশাদ হোসেন তিনটি করে উইকেট নেন। জাহানদাদ ১৮ রানে ৩ উইকেট এবং রিশাদ ১৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সিলেটের ইনিংস ধসিয়ে দেন।
এই জয়ের ফলে চার ম্যাচে তিন জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার দুই নম্বরে উঠে এসেছে ফরচুন বরিশাল। অন্যদিকে, টানা তিন হার সিলেট স্ট্রাইকার্সকে তলানিতে ঠেলে দিয়েছে।
কেকে/এএম