নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় পচা-দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে বসতঘরে পাওয়া গেছে মহিন উদ্দিন(৩৫) নামে এক ব্যক্তির লাশ। তবে পুলিশ তাৎক্ষণিক এই ঘটনার কোনো কারণ জানাতে পারেনি।
নিহত মহিন উদ্দিন চট্রগ্রামের খুলশী থানার পূর্ব ফিরোজ শাহ কলনীর আবদুল মমিনের ছেলে। তিনি পেলায় একজন চালক ছিলেন।
আজ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত ১০টার দিকে উপজেলার চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সি স্বর্ণকার বাড়ি থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকালে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মহিন উদ্দিন প্রেম করে কোম্পানীগঞ্জের চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের সুমি আক্তারকে (২০) বিয়ে করে। তাদের ঘরে ২ বছর বয়সী একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে গত ৩/৪ মাস আগে সুমি তার স্বামীকে ডিভোর্স দেয় বলে জানা যায়। কিন্তু স্বামী স্ত্রীকে ডিভোর্স দিতে অস্বীকৃতি জানান। ধারণা করা হচ্ছে, গত ২/৩ দিন আগে মহিন উদ্দিন শ্বশুর বাড়িতে এসে তাদের বসত ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
মঙ্গলবার বিকেলে স্থানীয় লোকজন মহিন উদ্দিনের শ্বশুরের বসতঘরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় দুর্গন্ধ পায়। পরে তারা বিষয়টি পুলিশকে জানালে তারা এসে ঝুলন্ত মরদেহটি উদ্ধার করে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মোহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, ওই ঘরে গত ৩/৪ মাস ধরে শ্বশুরের পরিবারের কেউ থাকে না। খবর পেয়ে পুলিশ ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে। লাশে পচন ধরে গেছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
কেকে/এআর