সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক ভাবেই সড়কে বাতি জ্বলে ওঠার কথা। অথচ তা হয় না। কারণ বাতি অকেজো। এভাবে চলছে মাসের পর মাস। এমন পরিস্থিতিতে সন্ধ্যা নামতেই সড়কে নামে ভূতুড়ে অন্ধকার। শেরপুরের নালিতাবাড়ী পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এতে করে নিরাপত্তার ঝুঁকিতে রয়েছে পৌরসভার বাসিন্দাগণ।
পৌরসভার বিদ্যুৎ বিভাগের দেওয়া তথ্য মতে, পৌরসভার ৭৪৭টি সড়ক বাতির মধ্যে অচল রয়েছে ২৪৪টি সড়ক বাতি।
পৌর শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা যায়, পৌরশহরের কালিনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে দক্ষিণ কালিনগর সড়ক, কালিনগর বাইপাস মোড়, গড়কান্দা মোড় থেকে গাজীরখামার টেম্পু স্টেশন সড়ক, গড়কান্দা মোড় থেকে নতুন বাসস্ট্যান্ড সড়ক, সাহাপাড়া সড়ক, আড়াইআনী বাজার থেকে চকপাড়া সাব রেজিস্টার অফিস সড়ক, দক্ষিণ বাজার থেকে চেয়ারম্যান সড়ক, ডাক বাংলো মোড় থেকে নামাপাড়া সড়ক, থানা থেকে এমএনপ্লাজা সড়ক, আব্দুর রশিদ মহিলা কলেজ থেকে গাংপাড় ছিটপাড়া সড়কের বেশিরভাগ সড়ক বাতিগুলো অকেজো হয়ে আছে মাসের পর মাস। এতে বাসিন্দাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। অন্ধকারে প্রায়ই রিকশাসহ বিভিন্ন যানবাহন ড্রেনেজে উল্টে পড়ার ঘটনা ঘটছে। এতে আহত হয়েছেন অনেকে। এ ছাড়া চুরি, ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটছে।
এসব এলাকার বাসিন্দারা জানান, শহরে থেকেও যেন আমরা আলোহীন অন্ধকার গ্রামে বসবাস করছি। অন্ধকারকে কাজে লাগিয়ে প্রায়ই চুরি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। বাড়ছে মাদকসেবী ও কিশোর গ্যাং সদস্যদের দৌরাত্ম্যসহ নানা অপরাধ। দ্রুত অকেজো সড়ক বাতিগুলো সচল করার দাবি জানান তারা।
এ বিষয়ে নালিতাবাড়ী পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হক জানান, গত ৫ আগস্টে পৌরসভায় অগ্নিকাণ্ডে পৌরসভা কার্যালয়ে রাখা বাতিগুলো পুড়ে গেছে এবং ওয়ারেন্টি কার্ড ও পুড়ে গেছে সেজন্য নষ্ট বাতিগুলো পরিবর্তন করা যাচ্ছে না। শীগ্রই অকেজো সড়ক বাতি গুলো সচলের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও পৌরসভার প্রশাসক ফারজানা আক্তার ববি বলেন, পৌরসভার মাসিক সভায় আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কেকে/এএম