চিত্রনায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘি একসময় ধারাবাহিকভাবে বডি শেমিংয়ের শিকার হয়েছিলেন। শারীরিক স্থূলতার কারণে নানা নেতিবাচক মন্তব্য শুনতে হয়েছে তাকে। সম্প্রতি এই অভিজ্ঞতা নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তিনি।
দীঘি জানান, বডি শেমিংয়ের শিকার যে কেউ মানসিকভাবে ট্রমাটাইজড হতে পারেন এবং হতাশায় ডুবে যেতে পারেন। তার কথায়, “মানুষ না ভেবেই বডি শেমিং করে ফেলেন। যে মানুষটি বডি শেমিং করছে, সে আদৌ বুঝতে পারে না, শিকার হওয়া ব্যক্তি এটি কীভাবে গ্রহণ করছেন। অনেকেই এটি নিয়ে ফ্রাস্ট্রেটেড বা ট্রমাটাইজড হয়ে যান।”
নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করে দীঘি বলেন, একসময় এত নেতিবাচক মন্তব্য শুনতে হতো যে, ফ্রাস্ট্রেটেড হয়ে গিয়েছিলাম। অসুস্থতার কারণে ডায়েট ও জিম করতে পারছিলাম না। এরপর যখন ঠিক করলাম, আমাকে শুকাতে হবে, তখন কোভিড হলো। সুস্থ হতে স্টেরয়েডযুক্ত ওষুধ খেতে হয়েছিল, যা শরীরকে আরও ভারী ও দুর্বল করে তোলে।
তিনি আরও বলেন, এক বছরের মতো ভুগতে হয়েছে। অনেক চেষ্টার পর অবশেষে শারীরিক ফিটনেস ফিরে পেয়েছি। কিন্তু এই পুরো প্রক্রিয়াটি ছিল অত্যন্ত কষ্টকর।
দীঘি মনে করেন, বডি শেমিংয়ের প্রভাব যেকোনো মানুষের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। সচেতনতা ছাড়া এই ধরনের নেতিবাচক মন্তব্য একজন ব্যক্তির জীবনে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করতে পারে।
কেকে/এএম