বাগেরহাট সদরের বিষ্ণুপুর ইউনিয়নো কুলিয়াদাইড় গ্রামে বিএনপির কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে মোল্লা মোস্তাফিজুর রহমান ও শেখ রুহুল আমীন গ্রুপের মধ্যে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপর থেকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দফায়-দফায় হামলায় নারীসহ ২০জন আহত হয়েছে।
আহতদের মধ্যে ৬জনকে বাগেরহাট ও খুলনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এঘটনার জের ধরে সন্ধ্যায় শেখ রুহুল আমীনসহ তাদের ৮ ভাইয়ের বাড়ীঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। বিবাদমান দুই গ্রুপের মধ্যে ফের সংঘর্ষে আশংকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। হামলায় উভয় গ্রুপের গুরুতর আহতদের মধ্যে বাগেরহাট হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন শেখ সায়েল উদ্দিন (৬০), লিটন শেখ (২৫), মামুন মোল্লা (৪২), কেরামত আলী (৩৮), রোজিনা বেগম (৪৫)। আশংকাজনক অবস্থায় মাহমুদ মোল্লা (৪৮)কে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
শেখ রুহুল আমীন জানান, বুধবার দুপুরে বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন বিএনপি কমিটি গঠন সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে জেলা বিএনপির সভাপতি আকরাম হোসেন তালিমের সাথে কথা বলে বাড়ী ফেরার পথে কুলিয়াদাইড় গ্রামের ভিআইপি মোড়ে পৌঁছালে প্রতিপক্ষরা তাদের উপর হামলা চালায়। এসময়ে তার গ্রপের কয়েকজন আহত হয়। অপর দিকে বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মোল্লা মোস্তাফিজুর রহমান গ্রুপের নেতা মাসুম মোল্লা জানান, তাদের উপর হামলার ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিতে আসার পথে শেখ রুহুল আমীন গ্রুপের লোকজন বিকালে তাদের উপর আবার হামলা চালায়। এতে আমাদের গ্রুপের ৫ জন আহত হয়। এঘটনার জের ধরে সন্ধ্যায় কুলিয়াদাইড় গ্রামে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এসময়ে শেখ রুহুল আমীনসহ তাদের ৮ ভাইয়ের বাড়ীঘরে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
এবিষয় বাগেরহাট জেলা বিএনপির আহবায়ক এটিএম আকরাম হোসেন তালিম জানান, বুধবার সন্ধায় কুলিয়া ধাদাইড় গ্রামের যে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে আমি তার সুষ্ট তদন্ত ও বিচারের দাবী জানান।
বাগেরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইদুর রহমান জানান, বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে ফের সংঘর্ষে আশংকায় এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
কেকে/এআর