নাটোরে নির্ধারিত সময়ের আগেই স্টেশন থেকে ট্রেন ছেড়ে যাওয়ায় অন্তত ৫০ যাত্রী ট্রেনে উঠতে পারেনি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ট্রেনে উঠতে না পারা যাত্রীরা কর্তব্যরত স্টেশন মাস্টারকে অবরুদ্ধ করে রাখে।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২ টার দিকে নাটোর স্টেশনে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
যাত্রীদের অভিযোগ, চিলাহাটি থেকে ছেড়ে আসা খুলনাগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি ১১ টা ৫৯ মিনিটে নাটোর স্টেশনের দুই নম্বর প্লাটফর্মে ঢুকে। পরে ট্রেনটি না থেমেই ১২ টা বাজতেই স্টেশন ছেড়ে যায়। এতে অন্তত ৫০ জন যাত্রী ট্রেনে উঠতে পারেনা। অন্তত তিন মিনিট ট্রেন দাঁড়ানোর কথা থাকলেও ১ মিনিটের কম সময়ে ছেড়ে যাওয়ায় অনেক যাত্রী ট্রেন থেকে নামতে পারেনি বলেও জানান তারা।
শিমুল হোসেন নামে এক যাত্রী জানান, ‘সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি নাটোর স্টেশনে ১ ঘন্টা দেরীতে আসে। স্টেশনে ১১ টা ৫৯ মিনিটের দিকে ঢুকে ১ মিনিটেরও কম সময় স্লো করে চলে যায়। এতে আমি সহ অনেক যাত্রী উঠতে পারি না। আমার সামনে দুইজন যাত্রী ট্রেন থেকে লাফ দিয়ে নামে, যারা আহত হন। অনেক যাত্রী নামতেই পারে না। আমাদের কথা হচ্ছে, ট্রেনতো স্টেশনে নির্ধারিত সময় থেমে থাকার কথা। কিন্তু না দাঁড়িয়ে কেন চলে গেল। এর দায়টা কার। আমরা স্টেশন মাস্টারকে বললে তিনি কোন সুদুত্তর দেন না।’
আসাদুজ্জামান নামে আরেক যাত্রী বলেন, ‘রাজশাহী থেকে আমরা নাটোর হয়ে খুলনায় যাওয়ার জন্য এসেছি। ১৪ টি টিকেট কেটেছি, পরিবারের সবাইকে নিয়ে একটি বিয়ের দাওয়াতে যাওয়ার জন্য। দ্বিতীয় প্লাটফর্মে দাঁড়াই, সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢুকতেই আবার ছেড়ে চলে যায়। আমরা কোনভাবেই ট্রেনটিতে উঠতে পারলাম না। স্টেশন মাস্টার কে এসে বললাম তিনি কোন ব্যবস্থা না করে উল্টা-পাল্টা কথা বলছেন।’
এবিষয়ে নাটোর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার শামীম হোসেন বলেন, ‘সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি তিন মিনিট থামার কথা থাকলেও দেড় মিনিটের মতো দাঁড়িয়েই ছেড়ে চলে যায়। সে কারণে অনেক যাত্রী উঠতে পারে নাই। আমি কন্ট্রোল রুমকে বিষয়টি জানিয়েছি। তিনি আরো বলেন, গাড়ি ছেড়ে আসলে আমি লাইন ক্লিয়ার দিয়ে দেই, গার্ডের দেখার বিষয় প্যাসেঞ্জার ক্লিয়ারেন্সের। সেটা গার্ড দেখেনি। অন্য ট্রেনে যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
কেকে/এমএস