জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাসে বেআইনি ও সহিংস ঘটনার সত্যানুসন্ধান করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আজ শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ এছাক মিয়া।
তিনি বলেন, গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত শাবি ক্যাম্পাসে সংঘটিত বেআইনি ও সহিংস ঘটনার সত্যানুসন্ধান পূর্বক জড়িতদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা, শিক্ষার্থী কর্তৃক হল থেকে অস্ত্র উদ্ধারের বিষয়গুলোসহ নির্ধারিত তারিখের মধ্যে ক্যাম্পাসের সহিংসতার ঘটনাগুলো স্থান পাবে। এ তদন্তে ক্যাম্পাসের বাইরের ঘটনাগুলো থাকবে না।
তিনি আরো বলেন, কোনো শিক্ষার্থী যদি সহিংসতায় জড়িতদের ভিডিও ফুটেজ বা অন্য প্রমাণ দেখাতে পারেন তাহলে সেটির সত্যতা যাচাই করা হবে। তবে শাস্তির বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দেখবে। এই কমিটি শিক্ষার্থীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে সত্যতা যাচাই করে প্রশাসনকে দিবে। এ বিষয়ে আমরা গতকাল মিটিং করেছি, শীঘ্রই গণবিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে।
এদিকে ঘটনাটির তদন্তে, গত ২৩ অক্টোবর ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার সৈয়দ সলিম মোহাম্মদ আবদুল কাদির স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ এছাক মিয়াকে আহ্বায়ক করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটিতে বাকি সদস্যরা হলেন- শাহপরান হলে প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ইফতেখার আহমদ, সৈয়দ মুজতবা আলী হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সেলিম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. জামাল উদ্দিন, সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনযুর উল হায়দার ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাসুদ আলম।
কেকে/এজে