চুয়াডাঙ্গার সীমান্তবর্তী উপজেলা জীবননগরে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় বোরো ধানের বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে বোরো ধানের আবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা। বোরো বীজতলা বিবর্ণ রূপ নিয়েছে। চাষিদের নানা পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
জীবননগর উপজেলায় ১টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নে বোরো আবাদ করতে প্রায় ৩শ ৯৭হেক্টর বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। ঘন কুয়াশা ও শীতের তীব্রতায় এসব বীজতলার অধিকাংশই নষ্ট হয়ে গেছে। সবুজ বীজতলা এখন ফ্যাকাশে,হলদেটে, লালচে ও পচে নষ্ট হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছেন চাষীরা ।
উপজেলার কোথাও কোথাও ধানের বীজ অঙ্কুরিত হওয়ার আগেই কুয়াশা ও শীতে পচে গেছে। অতিরিক্ত কুয়াশার কারণে পলিথিনের ব্যবহার ও সেচ দিয়েও রক্ষা করা যাচ্ছে না বীজতলা। এখন বেশি দামে ধানের চারা কিনে ধান রোপণ করা ছাড়া কোনো উপায় দেখছেন না চাষিরা। এ কারণে বোরো আবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন প্রান্তিক কৃষকেরা।
উপজেলার মনোহরপুর গ্রামের বোরো চাষী জাহিদ হাসান বলেন, অতিরিক্ত ঘন কুয়াশা ও শীতের কারণে তাদের বেশির ভাগ বীজতলা নষ্ট হয়ে গেছে। এখন আর সময় নেই পুনরায় বীজতলা করে আবাদ করার। বেশি দামে চারা কিনে আবাদ করা ছাড়া কোনো পথ দেখছেন না তিনি। তিনি আরো বলেন তীব্র শীতে ও কুয়াশায় শুধু আমারই নয় সব এলাকাই বীজতলা তৈরি করে ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
এদিকে, বীজতলা বাঁচাতে অনেকে পলিথিন ও খড় দিয়ে ঢেকে রাখছেন। কেউ কেউ ব্যবহার করছেন ছত্রাকনাশক। তবুও প্রতিকার হচ্ছে না। এ অবস্থায় মাঠপর্যায়ে গিয়ে নানা পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলে দাবি করছেন কৃষি বিভাগ।
জীবননগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, তীব্র শীতে ও ঘন কুয়াশায় বীজতলা নষ্ট হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত আবহাওয়া খুব প্রতিকূল নয়। দ্রুত শৈত্যপ্রবাহ ও কুয়াশা কেটে সূর্যের আলো ছড়ালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তবে বীজতলা পলিথিন দিয়ে ঢেকে,বীজতলায় ৩/৫ সেঃমিঃ পানি রেখে এবং কম্যুলাস জাতীয় প্রতিষেধক ভালোভাবে মিশিয়ে বীজতলায় স্প্রে করে পরিত্রাণ পাওয়া সম্ভব বলে জানান তিনি।
কেকে/এমএস