শৌখিন মানুষেরা তাদের ঘরবাড়িতে সবুজকে ধরে রাখার নিজস্ব ভাবনা আর প্রচেষ্টায় নিজ নিজ বাড়ির ছাদে তৈরি করছেন বাগান। তেমনি একজন প্রকৃতিপ্রেমী সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুইচিং মং মারমা। তিনি উপজেলা পরিষদের ছাদে ‘বিলকুঞ্জ’ নামে নান্দনিক এক বাগান করেছেন। ছাঁদটি দেখে মনে হয় এ যেনো এক টুকরো নির্মল উদ্যান।
উপজেলা পরিষদের ছাদ বাগানটি গত (২৩ ডিসেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেছেন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম । ঐত্যিবাহী চলনবিল অধ্যাসিতু এলাকা হওয়ায় ইউএনও’র শখের ছাদ বাগানটি ‘বিলকুঞ্জ’ নামকরন করা হয়েছে।
জানা যায়, তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুইচিং মং মারমা যোগদানের পরই ছাদ বাগান তৈরির উদ্যোগ নেন। ছাদের টবে আম, কাঠাল, টমোটো, লেবু, কমলা, মাল্টা, করমচা,জামরুল, ডালিম, পেয়ারা,জলপাই, কামরাঙা, জাম্বুরা, গোলাপ, গাঁদাফুলসহ প্রায় শতাধিক প্রজাতির ফুল ও ফলের গাছ রয়েছে। নিয়মিত পরিচর্যায় দ্রুত বেড়ে উঠছে ফুল ও ফলের গাছ। ইতোমধ্যে বিভিন্ন গাছে ফল ধরা শুরু হয়েছে। গ্রামীণ আবহ আর টাটকা ফল-সবজির জুড়ি নেই ছাদ বাগানে। আর এই ছাদ বাগানটি তৈরিতে সার্বিক সহযোগীতা করেছেন উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন।
তাড়াশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘ইউএনও মহোদয় একজন কৃষি বান্ধব মানুষ। তাই তিনি নিজ উদ্যেগে উপজেলা পরিষদের ছাদে বাগানটি করেছেন। তার অদম্য ইচ্ছাশক্তি থাকায় ছাদটাকে রূপ দিয়েছেন সবুজের সমারোহে।’
তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সুইচিং মং মারমা জানান, ‘সবুজ মানেই সতেজতা। সবুজ মানেই প্রশান্তি। কৃষির প্রতি ভালোবাসার টানে উপজেলা পরিষদ ভবনের ছাদে বিভিন্ন ফুল ও ফলের গাছপালা লাগিয়েছি।’
এছাড়া তিনি সবাইকে সৃষ্টিশীলতা ও নান্দনিকতা চর্চার আহবান জানান।
কেকে/এমএস