সোহান ঝড়ে রংপুরের উড়ন্ত জয়
মুহাজিরুল ইসলাম রাহাত, সিলেট
প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০২৫, ৬:২৫ পিএম (ভিজিটর : ৫৬)
ছবি: সংগৃহীত
শ্বাসরুদ্ধকর এক ম্যাচের স্বাক্ষী হলেন সিলেটের দর্শকেরা। যেখানে রংপুরের জয়ের নায়ক অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। জয়ের জন্য শেষ ওভারে রংপুর রাইডার্সের দরকার ছিল ২৬ রান। ৬ বলেই বাউন্ডারি হাঁকালেন সোহান। ৭ বলে ৩২ রানের এক বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন সোহান। তার মারকুটে এই ইনিংসে ছিল ৩ চার ৩ ছয়।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৯৭ রান করে বরিশাল। জবাবে ব্যাট করতে নেমে বরিশাল জয় তুলে নেয় ৩ উইকেট হাতে রেখে।
শ্বাসরুদ্ধকর এই ম্যাচে রংপুরের হয়ে শুরুর লড়াইটা করেছেন এক তাওফিক খান এবং ইফতিখার আহমেদ ও খুশদিল শাহ। ওপেনার তাওফিক ২৮ বলে ৩৮ রান করে ফেরেন। শেষ দিকে দলকে এগিয়ে নেওয়ার কাজটি করছিলেন ইফতিখার ও খুশদিল।
শাহিন আফ্রিদির করা ১৮তম ইফতিখান উইকেটের পেছনে ক্যাচ হলে রংপুরের জয়টা পাওয়া কঠিনই বলে মনে হলো। ৩৬ বলে ৪৮ রান করে ফেরেন ডানহাতি পাকিস্তানি ব্যাটার। এরপর কিছু শট খেলে লড়াই অব্যাহত রাখেন খুশদিল। তবে জয়ের জন্য সেটি যথেষ্ট বলে মনে হয়নি। ২৪ বলে ৪৮ রান করে সাজঘরে ফেরত যান তিনি।
১৯তম ওভারে জাহানদাদের খানের করা ওভারে অবট্রাটিং দ্য ফিল্ড আউট হন শেখ মেহেদী। স্ট্র্যাইটে খেলছিলেন মেহেদী। বোলার জাহানদাদ এগিয়ে ক্যাচ নিতে আসলে নন-স্ট্রাইকপ্রান্ত থেকে আসা নুরুল হাসান সোহান বাধা সৃষ্টি করেন।
মেহেদীর আউট হওয়ার দায় নিজের মাথায় নিয়েই বোধহয় অবিশ্বাস্য ইনিংসটি খেলেন সোহান। ৭ বলে তোলেন ৩২ রান। হাঁকান ৩ ছক্কা ও ৩ চার।
এর আগে কাইল মায়ার্সের ৭ ছক্কার বিধ্বংসী ইনিংসে ভর করে ৫ উইকেটে ১৯৭ রানের লড়াকু পুঁজি পায় ফরচুন বরিশাল। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ধীরেসুস্থে শুরু করে ফরচুন বরিশাল। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল আর নাজমুল হোসেন শান্ত প্রথম ৮ বলে কোনো রানই নেননি।
এরপর আস্তে আস্তে হাত খুলতে শুরু করেন দুই ওপেনার। ৬১ বলে উদ্বোধনী জুটিতে তারা তোলেন ৮১ রান। ১১তম ওভারে দুজনকেই ফেরান কামরুল ইসলাম রাব্বি। শান্ত ৩০ বলে ৫ চার আর ১ ছক্কায় ৪১ এবং তামিম ৩৪ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ৩ ছক্কায় ৪০ করে আউট হন।
এরপর ঝড় তোলেন কাইল মায়ার্স। মাঝে ১৮ বলে একটি করে চার-ছক্কায় ২৩ করে আউট হন তাওহিদ হৃদয়। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও ৪ বলে ২ করে সাজঘরে ফেরেন। ফাহিম আশরাফের ব্যাট থেকে আসে ৬ বলে ২০ রানের ক্যামিও।
মায়ার্স শেষ পর্যন্ত ২৯ বলে ৬১ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। মারকুটে এ ইনিংসে একটি চারের সঙ্গে ৭টি ছক্কা হাঁকান এই ব্যাটার। এর মধ্যে শেষ ওভারে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনই হজম করেন ৩টি।
কামরুল ইসলাম রাব্বির নেন দুটি উইকেট। আর সাইফউদ্দিন পান একটি উইকেট।
কেকে/এজে