দেশি পণ্যে বিদেশি ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণে প্রতিবছর বাণিজ্য মেলার আয়োজন করা হয়। এই মেলার উদ্দেশ্য থাকে নিত্যব্যবহার্য থেকে শুরু করে সব ধরনের পণ্যে সক্ষমতা প্রদর্শন এবং দেশীয় পণ্যের প্রতি বিদেশি উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের আকৃষ্ট করা।
আশা করা হয়, এই মেলার মাধমে দেশীয় পণ্য বিদেশে রপ্তানি বাড়বে, অর্জিত হবে বৈদেশিক মুদ্রা। তবে প্রতিবছর বাণিজ্য মেলায় বিদেশি ক্রেতা ও উদ্যোক্তাদের পদচারণ খুব কম।
এটি মূলত দেশীয় ক্রেতাদের মিলন মেলায় পরিণত হয়েছে। প্রচলিত দামের চেয়ে কম মূল্যের পণ্য কিনতে হাজারো মানুষের ভিড় জমে। একসঙ্গে হাজারো ক্রেতা পেয়ে বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোও বেশ ছাড়ে পণ্য বিক্রি করে। অনেকটা বারোয়ারি মেলায় পরিণত হয়।
ভুলতা স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. আব্দুল আউয়াল মাস্টার বলেন, সব ধরনের পণ্য মেলে বাণিজ্য মেলায়। এই মেলার উদ্দেশ্য থাকে নিত্যব্যবহার্য থেকে শুরু করে সব ধরনের পণ্যে সক্ষমতা প্রদর্শন এবং দেশি পণ্যের প্রতি বিদেশি উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের আকৃষ্ট করা। ফলে মেলায় রপ্তানি পণ্য যেমন আছে, তেমনি জীবনধারণের জন্য যেসব পণ্য প্রয়োজন—সব কিছুই রয়েছে।
মেলায় ঘুরতে আসা মুড়াপাড়া এলাকার গৃহীনি মিতু মেহজাবিন বলেন, এ মেলায় একই পণ্যে বিদেশি প্রতিযোগীরা থাকায় তাঁদের সঙ্গে দেশি পণ্যের তুলনা হচ্ছে আর পণ্যের প্রতি বিদেশিদের আগ্রহও বাড়ছে।
আশা করা হয়, এই মেলার মাধমে দেশীয় পণ্য বিদেশে রপ্তানি বাড়বে, অর্জিত হবে বৈদেশিক মুদ্রা। তবে প্রতিবছর বাণিজ্য মেলায় বিদেশি ক্রেতা ও উদ্যোক্তাদের পদচারণ খুব কম।
পূর্বাচলের স্থায়ী প্যাভিলিয়নে সশরীরে উপস্থিত হয়ে অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড.মুহাম্মদ ইউনুসের ঘোষণায় উদ্যোক্তা তৈরী ও দেশীয় ক্রেতাদের মিলনমেলায় পরিণত করাই মেলার উদ্দেশ্য।
মধুখালীর বাসিন্দা আরমান মিয়া বলেন, প্রচলিত দামের চেয়ে কম মূল্যের পণ্য কিনতে হাজারো মানুষের ভিড় জমে। একসঙ্গে হাজারো ক্রেতা পেয়ে বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোও বেশ ছাড়ে পণ্য বিক্রি করে। অনেকটা বারোয়ারি মেলায় পরিণত হয়। তবুও এই ভিড়ের মধ্যে বিদেশি ক্রেতাদের কাছ থেকে পণ্যের বড় চাহিদাপত্র আসে। অর্জিত হয় বৈদেশিক মুদ্রা।
ব্যবসা সংশ্লিষ্টরা জানান, নিজ নিজ দেশের পণ্যের বিকাশে বিশ্বের অন্যান্য দেশও বাণিজ্য মেলার আয়োজন করে। আর এই বাণিজ্য মেলার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য থাকে নিজেদের সক্ষমতা প্রদর্শন করে পণ্য সম্পর্কে বিদেশি ক্রেতাদের আকৃষ্ট করা, পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধি করা।
মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সচীব ও মেলার পরিচালক বিবেক সরকার বলেন , বাণিজ্য মেলা ঘিরে প্রতিবছর নতুন নতুন পণ্য রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি হয়। বিদেশি ক্রেতারা মেলায় এসে পণ্য দেখে। পণ্যের গুণগত মান সম্পর্কে যাচাই-বাছাই করে চাহিদাপত্র দেয়। প্রতিবছরই বিদেশিদের চাহিদা বাড়ছে। বিদেশি ক্রেতা আকৃষ্টের পাশাপাশি বাণিজ্য মেলায় দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো অংশ নিয়ে অভ্যন্তরীণ বাজারকেও সুসংহত করে। পাশাপাশি নতুন নতুন পণ্য ও সেবার পরিচিতির মাধ্যমে ব্যবসারও সম্প্রসারণ ঘটে। বিদেশি ক্রেতাদের আগমনে পণ্য রপ্তানিরও সুযোগ সৃষ্টি হয়। নিজেদের পণ্য প্রদর্শনের পাশাপাশি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের পণ্যের গুণগত মান ও ধরন যাচাইয়ের সুযোগ সৃষ্টি হয়।
সূত্রমতে বিগত সময়ে ভারত, থাইল্যান্ড, ইরান, তুরস্ক, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল, চীন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, পাকিস্তান, হংকং, সিঙ্গাপুর, মরিশাস, দক্ষিণ কোরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়াসহ বিশ্বের ৪০ টি অধিক রাষ্ট্রের অংশগ্রহণ থাকলেও সেটা কমে এখন মাত্র ১৩ টি রাষ্ট্রে নেমেছে।
কেকে/এইচএস