হলের সিট বণ্টনকে কেন্দ্র করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ( বেরোবি ) দুই বিভাগের শিক্ষার্থীদের মাঝে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষে অনলাইন পোর্টাল নিউজ সারাক্ষণের বেরোবি প্রতিনিধি সোহেব আকতার সাকিব সহ চার জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
এর মধ্যে সাকিব ও মুন্নাকে আহত অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সাংবাদিক সোহেব আকতার সাকিব এই বিষয়টার মীমাংসা করতে গেলে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের শিক্ষার্থীরা তার উপর ক্ষিপ্ত হন ও হামলা করে। হামলাকারীরা হলেন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন বিভাগের সাইদ, সবুজ, শুভ, পলাশ, রানা।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাত ৮ টা থেকে রাত সাড়ে ৯ টা পর্যন্ত দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা চলে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর দফতর ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বেরোবির বঙ্গবন্ধু হলে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী শরিফুলের সঙ্গে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের শিক্ষার্থীর মাঝে সিট পুনঃবণ্টন নিয়ে বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে প্রথমে বাগবিতণ্ডা হয়। এ নিয়ে এক পর্যায়ে হাতাহাতি ও সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিব গুরুতর আহত হন।
তাকে সহপাঠীরা উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে করে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। এদিকে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ও ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা পরস্পরের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয় পক্ষ লাঠি ও ইটপাটকেল একে অপরের বিরুদ্ধে নিক্ষেপ করতে থাকে। একপর্যায়ে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের ভেতরে অবস্থান নেন। অন্যদিকে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকের বাইরে অবস্থান নিয়ে সংঘর্ষ চালিয়ে যান। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক বন্ধ করে দেয়া হয়। সংঘর্ষে ৪ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
এ বিষয়ে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী মুশফিকুর রহমান অভিযোগ করেছেন, তাদের বিভাগের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। পাল্টা অভিযোগ করে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী শহিদুল ইসলাম।
খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ফেরদৌস রহমানের নেতৃত্বে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে নিবৃত করার চেষ্টা করছেন।
এ বিষয়ে প্রক্টর ড. মো. ফেরদৌস রহমান বলেন, এইসব ঘটনা আসলে পরিকল্পিতভাবে ঘটাচ্ছেন স্বৈরাচারীর দোসরা। স্বৈরাচার তো পালিয়ে গেছে কিন্তু তার প্রেতাত তারা এখনো রয়েএ গেছে।তারা পরিকল্পিতভাবে বিশেষ করে বন্ধের দিনে শুক্র এবং শনিবারে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করেন। নয়তো হলের শিট বিনিময় কে কেন্দ্র করে ঘটনাটা এতদূর যেত না।আজ আমাদের প্রক্টোরিয়াল বডির উপরও দুবার হামলা করা হয়েছে। একবার শুরুর দিকে প্রধান ফটকের সামনে এবং দ্বিতীয়বার যখন আমরা শিক্ষার্থীদের বের করে দেই প্রথম গেট দিয়ে তখন আমাদের উপর অ্যাটাক করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আজিজ জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে । তবে দুই পক্ষই অনড় অবস্থান নেওয়ায় ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
কেকে/এইচএস