শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫,
২৭ পৌষ ১৪৩১
বাংলা English

শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি ২০২৫
শিরোনাম: পলাতক ওসি শাহ আলমকে গ্রেফতারে সারাদেশে রেড অ্যালার্ট জারি      ক্ষমতার অসুস্থ প্রতিযোগিতায় বাড়ছে রাজনৈতিক অনৈক্য      বাড়তি ব্যয় চাপছে ভোক্তার ঘাড়ে, ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরাও      পালিয়েছে গ্রেফতারকৃত সাবেক ওসি শাহ আলম      শমী কায়সারের ব্যাংকের সবধরনের হিসাব তলব      যানজটের কারণে জনগণের কাছে বিএনপির দুঃখ প্রকাশ      লেবাননের নতুন প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন      
খোলাকাগজ স্পেশাল
ভ্যাট, শুল্কহার ও গ্যাসে দাম বৃদ্ধির উদ্যোগ
বাড়তি ব্যয় চাপছে ভোক্তার ঘাড়ে, ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরাও
আলতাফ হোসেন
প্রকাশ: শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫, ১০:২৯ এএম  (ভিজিটর : ৩০)
ছবি: খোলা কাগজ

ছবি: খোলা কাগজ

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে হঠাৎ ভ্যাট, সম্পূরক শুল্কসহ বিভিন্ন ধরনের কর বাড়িয়ে রাজস্ব বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রায় ৪৩টি পণ্যের ওপর ভ্যাট ও শুল্ককর দ্বিগুণ করার উদ্যোগের পাশাপাশি মোটরসাইকেল, রেফ্রিজারেটর, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র (এসি) ও কম্প্রেসার প্রভৃতি শিল্পের আয়কর ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এছাড়া শিল্প খাতে প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ৩১ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা করার প্রস্তাব করেছে পেট্রোবাংলা। বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যবসায়ীরা শুধু ভোক্তা থেকে ভ্যাট সংগ্রহ করে। ব্যবসায়ীরা বাড়তি খরচসহ সবকিছু হিসাব করেই মূল্য নির্ধারণ করবে। দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষ কষ্টে আছে। এ সিদ্ধান্তে মানুষের ঘাড়ে বাড়তি বোঝা চাপানো হবে।

এ ধরনের হঠকারি সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়েছেন দেশের ব্যবসায়ীরা। অংশীজনদের সঙ্গে কোনো রকম পূর্ব আলোচনা ছাড়াই ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না। হঠাৎ করে ভ্যাট, সম্পূরক শুল্কসহ বিভিন্ন ধরনের কর ও গ্যাসের দাম বাড়ার কারণও খুঁজে পাচ্ছেন না তারা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, নতুন প্রস্তাব পাস হলে অসম প্রতিযোগিতার সৃষ্টি হবে। কেউ ৩০ টাকা দিয়ে গ্যাস কিনবে আবার কেউ দ্বিগুণ দেবে। এমন হলে নতুন উদ্যোক্তারা তো টিকতে পারবে না। দেশের সামগ্রিক ব্যবসায়িক কার্যক্রমের পাশাপাশি স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। ফলে উৎপাদন ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ায় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পাবে, মূল্যস্ফীতি বাড়বে এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ সংকুচিত হবে, সামগ্রিক অর্থনীতিকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে। যদিও এনবিআর বলছে, যেসব পণ্য ও সেবায় ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক ও আবগারি শুল্ক বৃদ্ধি করা হচ্ছে তার মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নেই বিধায় সর্বসাধারণের ভোগ্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাবে না এবং মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব পড়বে না।
 
রাজস্ব আদায় বাড়ানোর জন্য প্রাথমিকভাবে ৪৩ ধরনের পণ্য ও সেবার ভ্যাট বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে এনবিআর। ওষুধ, গুঁড়াদুধ, বিস্কুট, জুস, ফলমূল, সাবান, মিষ্টি, মোবাইলে কথা বলা, ইন্টারনেট ব্যবহার, হোটেল-রেস্তোরাঁয় খাওয়া, বিমানের টিকেটসহ সিগারেট এবং তামাকপণ্য রয়েছে বাড়তি ভ্যাট ও শুল্ক-করের তালিকায়। এসব পণ্যে মোট ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা এতদিন ৫ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশ ছিল। এছাড়া বিভিন্ন পণ্য ও সেবায় আবগারি শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের সিগারেটে দেড় শতাংশ এবং মোবাইলের টক টাইমে ৩ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বাড়তে পারে।

এছাড়া খুচরা যন্ত্রাংশসহ পূর্ণাঙ্গ ফ্রিজার, রেফ্রিজারেটর, মোটরসাইকেল, এয়ারকন্ডিশনার ও কম্প্রেসর তৈরির ক্ষমতাসম্পন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানের কেবল এ শিল্পের ব্যবসা থেকে অর্জিত আয়ের ওপর প্রদেয় আয়কর হার ২০ শতাংশ করা হয়েছে। বর্তমানে এ ধরনের শিল্প তাদের আয়ের ওপর ১০ শতাংশ কর দিচ্ছে।

এদিকে জ্বালানি বিভাগের অনুমোদনের পর বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে গ্যাসের দাম ৩০ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা ৭২ পয়সা করার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা)। কমিশন সভায় বিইআরসি বাড়তি দামের অনুমোদন দিলেই বাড়বে গ্যাসের দাম। বিইআরসিকে পাঠানো পেট্রোবাংলার প্রস্তাবে বলা হয়, পুরোনো গ্রাহকের ক্ষেত্রে অনুমোদিত লোডের বাড়তি ব্যবহৃত গ্যাসের বিল হবে নতুন দামে। যেসব শিল্পকারখানা নতুন সংযোগের প্রতিশ্রুতি পেয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে অনুমোদিত লোডের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত আগের দাম দিতে হবে। এর বাইরে বাকি খরচের জন্য নতুন দাম প্রস্তাব করা হয়েছে।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, অর্থবছরের মাঝে ভ্যাট বাড়ানো, এটা চাপেই করতে হয়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির বাজারে এটা অবশ্যই একটা বাড়তি চাপ তৈরি করবে ভোক্তা ও উৎপাদক পর্যায়ে। সিগারেট বা মদে কর বাড়ানো যৌক্তিক। এ ছাড়া কিছু পণ্য উচ্চমধ্যবিত্তরা ব্যবহার করে। কিন্তু বাকিগুলো নিম্নমধ্যবিত্তরা ব্যবহার করে। এখানে ভ্যাট না বাড়িয়ে কীভাবে প্রত্যক্ষ করের আওতা বাড়াতে পারি, সেই দিক বিবেচনা করা উচিত ছিল।
কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)-এর সিনিয়র সহ-সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন বলেন, ভ্যাট তো ব্যবসায়ীরা দেন না ভ্যাট দেন ভোক্তা। ব্যবসায়ীরা শুধু ভোক্তা থেকে ভ্যাট সংগ্রহ করে থাকে। ব্যবসায়ীরা তো বাড়তি খরচসহ সবকিছু হিসাব করেই মূল্য নির্ধারণ করবে। ফলে ভোক্তার ঘাড়ে পুরোটায় পড়বে। যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষ কষ্টে আছে। এ সিদ্ধান্তে মানুষের ঘাড়ে বাড়তি বোঝা চাপানো হবে।

তিনি বলেন, নিত্যপণ্যের বাজারের ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার আগের সরকারের মতো একই পথেই হাঁটছে। এখানে নতুনত্ব বা কিছু আলাদা করার কিছুই নেই। আগের সরকার যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছে এ সরকারও একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করছে। এটা হতাশাজনক।

নাজির হোসেন বলেন, ভ্যাট বা কর না বাড়িয়ে আওতা বাড়ানো প্রয়োজন। ভ্যাট বা ট্যাক্স ফাঁকি দেওয়ার মহা-উৎসব এনবিআরে আছে। কর ফাঁকি বন্ধ করতে পারলে প্রতিবছর হার বাড়ানোর বিষয়টি আসতো না। তারা এটা করতে চায় না। সরকার বারবার করের হার বাড়িয়ে জনগণের ভোগান্তি বাড়াবে এটা কাম্য না।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি বলেন, নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাসের সরবরাহ নিশ্চিত না করেই দাম দ্বিগুণের বেশি বৃদ্ধির প্রস্তাব নিঃসন্দেহে দেশের শিল্প খাতের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ এবং এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে ব্যবসার খরচ কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে গ্যাসের এমন মূল্যবৃদ্ধির প্রয়াস সামগ্রিক বিনিয়োগের পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে, নতুন শিল্প স্থাপনের সম্ভাবনা কমাবে এবং বিদ্যমান বিনিয়োগকারীদের ব্যবসা পরিচালনায় বাধা সৃষ্টি করবে। ফলে রফতানিমুখী শিল্পের উৎপাদন খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যাবে, যা আন্তর্জাতিক বাজারে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতা সক্ষমতাকে দুর্বল করে তুলবে।

বাংলাদেশ রেস্তোরাঁ মালিক সমিতিা মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, দুবছরের বেশি সময় ধরে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে। ৭০ শতাংশ রেস্তোরাঁ এখনো ভ্যাটের আওতার বাইরে। অন্তর্বর্তী সরকার করের আওতা না বাড়িয়ে বা কর ফাঁকি রোধ করার ব্যবস্থা না করে অর্থবছরের মাঝামাঝি হঠাৎ তিনগুণ ভ্যাট বাড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। যার সরাসরি প্রভাব পড়বে সাধারণ মানুষের ওপর। আইএমএফ-এর শর্ত মানতে গিয়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির মতো দেশের জনগণের ওপর ইচ্ছে মতো করের বোঝা চাপিয়ে দেওয়া কোনো পূর্ণাঙ্গ সমাধান হতে পারে না।

তিনি জানান, বর্তমানে ভ্যাট নিবন্ধন নেওয়া প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫ লাখ ২৫ হাজার। এর মধ্যে গড়ে সাড়ে তিন লাখ প্রতিষ্ঠান নিয়মিত ভ্যাট দিয়ে থাকে। এর বাইরে যে লাখ লাখ প্রতিষ্ঠান রয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাটের আওতায় আনতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কার্যকর কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।

ইমরান হাসান বলেন, রেস্তোরাঁ খাতটি বিক্রয়ের ওপর ভ্যাট ও আয়ের ওপর কর প্রদান করে সুতরাং ভ্যাটের সঙ্গে ট্যাক্সেশনও জড়িত। রাষ্ট্র ৫৩ বছরে ব্যবসায়ীদের জন্য কাজ করেনি। তবে সরকার হাতেগোনা কিছু ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করেছে। তারাই ফুলে ফেঁপে বড় হয়েছে। ভ্যাট বাড়ানোর পরিকল্পনা থেকে সরে না এলে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দিতে হবে।

দেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের বিদ্যমান নাজুক পরিস্থিতির মধ্যে মোটরসাইকেল, রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনার এবং কম্প্রেসার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের ওপর করের হার দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলছে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো। তবে এনবিআর বলছেন, দেশে উৎপাদিত মোটরসাইকেল, ফ্রিজ, এসি ও অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স পণ্য দেশের চাহিদা মিটিয়ে কিছু পণ্য বিদেশেও রফতানি হচ্ছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগে এসব ভারী শিল্প দেশে স্থাপিত হয়েছে। এসব শিল্প স্থাপনে সরকার বিপুল পরিমাণ কর, ভ্যাট ছাড় দিয়েছে। করছাড় দেওয়ার ফলে এসব শিল্প এখন অনেকটাই স্বাবলম্বী হয়েছে। বর্তমানে এ ধরনের শিল্প তাদের আয়ের ওপর ১০ শতাংশ কর দিচ্ছে। সাধারণত এসব শিল্প প্রতিষ্ঠানকে ২০-২২ শতাংশ করপোরেট কর দিতে হয়। দেশীয় শিল্প সুরক্ষায় এবং তাদের স্বাবলম্বী করতে এতদিন তাদের কর কমানো ছিল। ওটাই বাড়ানো হয়েছে। মানে করছাড় প্রত্যাহার করে নিল এনবিআর।

কেকে/ এমএস
আরও সংবাদ   বিষয়:  ভ্যাট   শুল্কহার   গ্যাস   দাম বৃদ্ধির উদ্যোগ  
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

কুমিল্লায় ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ২
জুলাইয়ের ঘোষণাপত্রে আলেমদের অবদান উল্লেখ থাকতে হবে: আতাউর রহমান
শাবিপ্রবির চট্টগ্রাম ফোরামের সভাপতি ধ্রুব, সম্পাদক শান
পলাতক ওসি শাহ আলমকে গ্রেফতারে সারাদেশে রেড অ্যালার্ট জারি
জাল টাকার নোট দিয়ে পান-সিগারেট কিনতে গিয়ে আটক যুবক

সর্বাধিক পঠিত

নিপুণকে সিলেট বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দিল পুলিশ
পালিয়েছে গ্রেফতারকৃত সাবেক ওসি শাহ আলম
লামায় নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ২ নেতা গ্রেফতার
জাল টাকার নোট দিয়ে পান-সিগারেট কিনতে গিয়ে আটক যুবক
বিদ্যুৎ না থাকলেও মিটারে বেশি বিল আসার কারণ জানাল বিএন্ডটি

খোলাকাগজ স্পেশাল- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2024 Kholakagoj
🔝