ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, জুলাই ২৪ বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও আলেমদের অবদান উল্লেখ থাকতে হবে।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাজধানী উত্তরের ভাটারাস্থ আস-সাঈদ মিলনায়তনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, কোটাবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে ৫ আগস্ট পর্যন্ত রাজনৈতিক দল হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার পাশে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ধারাবাহিকভাবে সক্রিয় ছিল। জুলাই বিপ্লবে ৭০ জনের বেশি হাহেজ, আলেম শাহাদাত বরণ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, আন্দোলনে ইসলামপন্থীদের অবদান ছিল সবচেয়ে বেশি। তাছাড়া দেশের আলিম সমাজ গত ১৬ বছরের ফ্যাসিবাদী শাসনে সবচেয়ে বেশি নিপীড়ন ও বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। অতএব জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে তাদের অবদানের উল্লখ না থাকলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না।
ঢাকা মহানগর উত্তর সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মদ আরিফুল ইসলামের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি দেলোয়ার হোসাইন সাকি।
আরও বক্তব্য রাখেন আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন, মুফতি অলিউল্লাহ, মাওলানা নুরুল ইসলাম নাঈম, ইন্জিনিয়ার মুরাদ হোসেন, মুফতী ফরিদুল ইসলাম, মুফতী মো. মাছউদুর রহমান, ডাক্তার মুজিবুর রহমান, অ্যাডভোকেট শওকত আলী হাওলাদার, মাস্টার ওয়ারেন্ট অফিসার অব. আমিনুল হক তালুকদার, ইঞ্জিনিয়ার গিয়াস উদ্দিন পরশ, মুহাম্মদ নাজমুল হাসান প্রমুখ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মুফতী দেলোয়ার হোসাইন সাকী বলেন, ফ্যাসিবাদ ও স্বৈরাচারমুক্ত করে দেশকে বাঁচাতে হলে ভারতীয় এজেন্টদের জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া যাবে না। তাই আগামী জাতীয় নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতেই দিতে হবে, এর কোনো বিকল্প নেই।
সভাপতির বক্তব্যে শেখ ফজলে বারী মাসউদ বলেন, বিপ্লবী সরকারের আমলে সংস্কার না হলে নির্বাচিত সরকার এসে জনগণের উপর আবার জুলুমের মাত্রা বাড়িয়ে দিবে। আর দোষ চাপাবে বিগত সরকারের। তাই সংস্কার ব্যতিত নির্বাচন দিলে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত হবে।
কেকে/এএম