ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে দুই পা হারিয়েছেন রামু উপজেলার ঈদগড় ইউনিয়নের নুর আলম (৫০)। একসময় নিজের উপার্জনে পরিবারের ছয় সদস্যের জীবন চালালেও এখন তিনি পুরোপুরি অসহায়। চিকিৎসার খরচ মেটাতে সবকিছু বিক্রি করে এখন চলছে মানুষের দান-অনুদানে।
পরিবারে স্ত্রী, দুই মেয়ে, এক ছেলে এবং মা নিয়ে কোনো রকমে দিন পার করছেন নুর আলম। এক সময় আয়-রোজগার ভালোই ছিল, কিন্তু পা হারানোর পর জীবিকা নির্বাহের সব পথ বন্ধ হয়ে গেছে। বড় মেয়ের বিয়ে দিতে পারলেও ছোট মেয়ের বিয়ে অর্থের অভাবে আটকে আছে।
নুর আলম বলেন, পায়ের অভাবে এখন কিছুই করতে পারি না। যদি দোকান দেওয়ার মতো পুঁজি পাই, তবে সেখান থেকেই কিছু আয় করতে পারব। আমার পরিবারের কষ্ট কিছুটা হলেও কমবে।
সম্প্রতি সাংবাদিক মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নুর আলমকে একটি হুইলচেয়ার উপহার দেন। আগে কাঠের তৈরি গাড়িতে চলাফেরা করতেন নুর আলম। হুইলচেয়ার পাওয়ার পর তার চলাফেরার কিছুটা কষ্ট লাঘব হয়েছে।
সাংবাদিক মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন বলেন, নুর আলমের মতো অসহায় মানুষদের জন্য সরকার এবং সমাজের বিত্তবানদের এগিয়ে আসা উচিত। শুধু সাহায্য নয়, তাদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা জরুরি।
স্থানীয় ঈদগড় বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি নুরুল হুদা বলেন, যদি সমাজের সবাই এভাবে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ায়, তবে কেউ কষ্টে থাকবে না।
এদিন নেজাম উদ্দিন নুর আলমকে হুইলচেয়ার দেওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় হাফেজখানার শিক্ষার্থীদের মাঝে শীতবস্ত্রও বিতরণ করেন। এই উদ্যোগে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং সমাজসেবকরাও উপস্থিত ছিলেন।
কেকে/এএম