ভোলার চরফ্যাসন উপজেলার নতুন ইউএনও রাসনা শারমিন মিথির অশ্লীল আচরণ ও শাস্তি দেওয়ার ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র নিন্দার ঝড় উঠেছে। গত ২০ ডিসেম্বর, ইউএনও’র সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় না করার কারণে মডেল মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনের বেতন আটকে দেওয়া এবং এক সপ্তাহ নিয়মিত দেখা করার শর্ত দিয়ে তাদের অপমানিত করা হয়।
এ ঘটনায় চরফ্যাসন উপজেলা ওলামা ও আইম্মা ঐক্য পরিষদ প্রতিবাদে মানববন্ধনের প্রস্তুতি নিলেও পরে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের হস্তক্ষেপে লিফলেট বিতরণ বন্ধ হয়ে যায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথি গত দুই মাস আগে চরফ্যাসনে যোগদান করেন। তার সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় না করায় তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে মডেল মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের বেতন আটকে দেন এবং এক সপ্তাহ নিয়মিত দেখা করার শর্ত দেন।
এই ঘটনায় মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের অপমান করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে। মসজিদের খতিব মাওলানা সালাউদ্দিন ও মুয়াজ্জিন হাফেজ আবুল কালামসহ ইসলামি ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তারা ইউএনও’র অস্বাভাবিক আচরণে হতবম্ব হয়ে পড়েন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে চরফ্যাসন উপজেলা ওলামা ও আইম্মা ঐক্য পরিষদ মানববন্ধনের প্রস্তুতি নেয় এবং এর আওতায় স্থানীয় মাদ্রাসার ছাত্ররা লিফলেট বিতরণ শুরু করে। তবে, স্থানীয় রাজনৈতি নেতাদের মধ্যস্থতায় একটি সমঝোতা করা হয়েছে এবং লিফলেট বিতরণ বন্ধ রাখা হয়েছে।
ওলামা ও আইম্মা ঐক্য পরিষদের নেতারা জানান, ইউএনও এর আচরণে তিনি অনুতপ্ত হয়েছেন এবং ভবিষ্যতে এমন আচরণ না করার অঙ্গীকার করেছেন।
নির্বাহী কর্মকর্তা রাসনা শারমিন মিথিকে ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি, তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
কেকে/এএম