বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকার রাজনৈতিক দল ও জনগণের বিপুল সমর্থনকে কাজে লাগাতে পারছে না।তাদের প্রতি জনগণের বিরাট আস্থার মর্যাদাও তারা রাখতে পারছে না। কাজের অগ্রাধিকার ঠিক করতে না পারায় সরকারের মধ্যে নানা দ্বিধা-দোদুল্যমানতা দেখা যাচ্ছে।মাঝে মধ্যে নন-ইস্যুকে তারা বড় ইস্যু করে তুলছে।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বিকালে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুরের বাঁশমহলে পার্টির প্রয়াত কেন্দ্রীয় নেতা মোখলেছুর রহমানের শোকসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি সরকারকে উচ্চাভিলাষী রাজনৈতিক প্রকল্প সীমিত করে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে ২০২৫ সালের মধ্যে জাতীয় নির্বাচনকেই প্রধান কর্তব্য হিসেবে নির্ধারণের আহ্বান জানান।
এনবিআর কর্তৃক অস্বাভাবিকভাবে শতাধিক পণ্যের ওপর ভ্যাট ও কর আরোপের সিদ্ধান্তে তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়ে সাইফুল হক বলেন, এটা ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’- এর মতো।উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষ যখন দিশেহারা, তখন এই পদক্ষেপ জনদুর্ভোগ আরও চরমে নিয়ে যাবে।
সাইফুল হক বলেন, সরকারের ব্যর্থতার দায়ে মানুষ শাস্তি পেতে পারে না।তিনি আইএমএফ’র পরামর্শে নেওয়া এই আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি পার্টির প্রয়াত কেন্দ্রীয় নেতা কমরেড মোখলেছুর রহমানের সংগ্রামী জীবনের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, ভাটি অঞ্চলের এই বিপ্লবী নেতা সাধারণ মানুষের জন্য জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। রাজনীতি যখন অর্থবিত্ত গড়ে তোলার মাধ্যম, তখন তিনি নিজের সবকিছু উজাড় করে মেহনতী মানুষের অধিকার আর মুক্তির লক্ষ্যে কাজ করেছেন।
অন্যান্য বক্তারা কমরেড মোখলেছুর রহমানের হার না মানা বিপ্লবী জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে সাম্যভিত্তিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ও সমাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলন এগিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানান।
পার্টির প্রবীণ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াসউদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই শোকসভায় বক্তব্য দেন- বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য আকবর খান, আবু হাসান টিপু, কেন্দ্রীয় সদস্য নজরুল ইসলাম শাহজাহান, খলিলুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, অ্যাডভোকেট ফায়েজুর রহমান মনির, ইমরান হোসেন এবং স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শিক্ষক, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের বিশিষ্টজনরা।
সভার শুরুতে মোখলেছুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে একমিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়।
কেকে/এজে