ব্রণ কমাতে নানা ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করেও যদি ফল না পান, তবে ওট্স হতে পারে আপনার ত্বকের জন্য একটি চমৎকার উপাদান। এটি শুধু শরীরের জন্য উপকারী নয়, ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতেও বেশ কার্যকর। ওট্সে রয়েছে প্রদাহনাশক উপাদান, যা ত্বকের ব্রণ, র্যাশের জ্বালা ও চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। চলুন, জেনে নিন কীভাবে সহজে ঘরোয়া মাস্ক তৈরি করবেন।
১. ওট্স ও কাঠবাদাম স্ক্রাব
উপকরণ:
১ টেবিল চামচ ওট্স ও ২টি কাঠবাদাম।
প্রণালী:
ওট্স ও কাঠবাদাম একসাথে গুঁড়ো করে নিন।কিছুটা জল বা দুধ দিয়ে মিশিয়ে হালকা হাতে মুখে গোল গোল করে ঘষুন।কিছুক্ষণ পরে জল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন।এটি ত্বক পরিষ্কার ও ময়লা দূর করে, এবং ব্রণের কারণে হওয়া প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।
২. ওট্স, টক দই এবং মধুর মাস্ক
উপকরণ:
২ টেবিল চামচ ওট্স গুঁড়ো
২ টেবিল চামচ টক দইকিছু ফোঁটা মধু
প্রণালী:
প্রথমে স্ক্রাব করে নিন।
তারপর মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে অন্তত ২০ মিনিট রেখে দিন।
তারপর ঈষদুষ্ণ জলে ধুয়ে ফেলুন।
এটি ত্বককে মসৃণ ও কোমল করে তোলে এবং ব্রণ কমাতে সহায়ক।
৩. হলুদ ও ওট্স মাস্ক
উপকরণ:
২ টেবিল চামচ ওট্স গুঁড়োআধ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
প্রণালী:
দুটি উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে জল দিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন।
মুখে মাখুন এবং কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন।
হলুদ অ্যান্টিসেপটিক গুণে পরিপূর্ণ, যা ত্বকের সুরক্ষা এবং উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
৪. অ্যালো ভেরা ও ওট্স মাস্ক
উপকরণ:
২ টেবিল চামচ ওট্স গুঁড়ো১ টেবিল চামচ অ্যালো ভেরা জেল
প্রণালী:
উক্ত উপকরণগুলো মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন।
মুখে ১৫-২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।
এটি ত্বকের শুষ্কতা দূর করে এবং ত্বককে সজীব ও সতেজ রাখে।
উপকারিতা:
প্রদাহনাশক: ব্রণ ও র্যাশ কমায়।
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট: ত্বককে উজ্জ্বল ও মসৃণ করে।
প্রাকৃতিক উপাদান: প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহারে ত্বকে কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কম।
এখন থেকে রূপচর্চায় শখের সঙ্গে ওট্স যোগ করুন, এবং আপনার ত্বকের সৌন্দর্য উপভোগ করুন!
কেকে/এএম