বায়ুদূষণে বিশ্বের শীর্ষ স্থানগুলোর র্যাঙ্কিংয়ে সবসময়ই প্রথম সারিতে দেখা যায় এশিয়ার শহরগুলোকে। আরো স্পষ্টভাবে বললে দক্ষিণ এশিয়া। এই অঞ্চলের একাধিক মেগাসিটিকে সহজেই খুঁজে পাওয়া যায় দূষিত বাতাসের নগরীর তালিকায়। সবশেষ তথ্য অনুযায়ী শীর্ষ দশ শহরের ছয়টিই এই অঞ্চলের, সেই তালিকায় রয়েছে রাজধানী ঢাকা, ঢাকার স্কোর ২৩০। দূষণের শীর্ষে অবস্থান করছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা, যার স্কোর ৩৪৬,। তালিকার তৃতীয় থেকে পঞ্চম স্থানে রয়েছে যথাক্রমে মুম্বাই (২১৭), দিল্লি (২১৫) ও তাশখন্দ (১৯০)।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের তথ্যানুযায়ী সকাল সাড়ে ৯টায় এ সূচক প্রকাশ করে যা জনস্বাস্থ্যের জন্য ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত। শীত মৌসুমে ঢাকার বাতাস আরো ভয়াবহভাবে দূষিত হয়ে ওঠে। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দূষিত বাতাসের মানদণ্ডে ঢাকার অবস্থান দ্বিতীয়।
বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এ লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও সতর্ক করে থাকে। একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)
প্রসঙ্গত, একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। স্কোর যদি ২০০’র বেশি হয় তাহলে সেটি খুবই অস্বাস্থ্যকর। সবশেষ, স্কোর যদি ৩০০ অতিক্রম করে তাহলে সেই বাতাস ‘বিপজ্জনক’।
কেকে/এমএস