প্রকাশ: শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫, ১২:৪৭ পিএম (ভিজিটর : ৩৩)
ছবি: প্রতিনিধি
সাওতাল পল্লিতে অগ্নিসংযোগ এবং নারী নির্যাতনের দায়ে গত ৮ জানুয়ারী ঢাকায় আটক হন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জের রাজাহার ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম। তার মুক্তি দাবিতে রাজারহাটে মানববন্ধন করেন স্থানীয় এলাকাবাসী।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাজারহাট বাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন শেষে চেয়ারম্যানের মুক্তির দাবিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বেড় হয়। মিছিলে চেয়ারম্যানের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, চেয়ারম্যান শুধু জনপ্রনিধি নয় তিনি একজন শিক্ষক। গত ৩ জানুয়ারী নিজের ক্রয়কৃত জমিতে মাটি ফেলছিল ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল, তখন স্থানীয় সাঁওতালরা উক্ত জমি নিজেদের দাবি করে মাটি ফেলতে বাধা দেয়। চেয়ারম্যান বিষয়টি জানার জন্য আসে, পরে বাক বিতন্ডার একপর্যায়ে হাতা হাতি হয়। ইউনিয়নবাসীর দাবি সাঁওতালরা পরিকল্পিত ভাবে চেয়ারম্যানকে ফাঁসিয়েছে।
তারা আরো বলেন, আমাদের চেয়ারম্যান একজন ভাল মানুষ সে কখন কারো গায়ে হাত দিতে পারে না এবং কারো বাড়ীতে অগ্নিসংযোগ করতে পারে না এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। আমরা চেয়ারম্যানের নিঃশর্ত মুক্তি চাই।
উল্লেখ্য, ৮ জানুয়ারী উচ্চ আদালতে জামিন নিতে ঢাকায় গেলে সেখান থেকে আটক করে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ। চেয়ারম্যান আটকের ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।
এসময় চেয়ারম্যানের স্ত্রী মোছা. মনোয়ারা বেগম বলেন, আমার স্বামী একজন শিক্ষক। দির্ঘদিন শিক্ষকতা করেছেন তিনি। কারো গায়ে হাত দিবে এটা আমরা বিশ্বাস করি না। আমার স্বামীকে সাওতালরা মারধরকরে এবং টাকা ছিনিয়ে নেয়।
স্থানীয় বাসিন্দা পলাশ বলেন, স্বৈরাচার সরকারের আমলে সাওতাল, হিন্দু, খ্রিষ্টান, মুসলমান দলমত নির্বিশেষে সকলে ভোট দিয়ে তাকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়। তিনি ভাল মানুষ না হলে জাতীয়তবাদী দলের একজন কর্মি হয়ে কি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারতো? তাই আমরা আমাদের চেয়ারম্যানের নিঃশর্ত মুক্তি চাই।
কেকে/এমএস