রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫,
১১ ফাল্গুন ১৪৩১
বাংলা English

রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
শিরোনাম: ভারতে বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান      বাধ্যতামূলক হচ্ছে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল      ভারতের দিকে তাকিয়ে আ.লীগ নেতারা      কোনো দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন না করতে পুলিশ সদস্যদের নির্দেশ স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার      হামাস মুক্তি দিলেও, ফিলিস্তিনিদের মুক্তি আটকে দিলেন নেতানিয়াহু      মাথায় লাল কাপড় বেঁধে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে কুয়েট শিক্ষার্থীরা      জামায়াত নেতা এটিএম আজহারের রিভিউ শুনানি মঙ্গলবার      
গ্রামবাংলা
লোহাগাড়ায় এখনো টিকে আছে প্রাচীন ঐতিহ্য ঘোড়দৌঁড়
ফাহাদ, লোহাগাড়া, (চট্টগ্রাম)
প্রকাশ: শনিবার, ১১ জানুয়ারি, ২০২৫, ১:৩৫ পিএম আপডেট: ১১.০১.২০২৫ ১:৩৮ পিএম  (ভিজিটর : ২১৩)
ছবি: প্রতিনিধি

ছবি: প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার জনপদগুলো ছিল গ্রামীণ মেলা ও লোকজ সংষ্কৃতিতে ভরপুর। জ্ঞান চর্চার ক্ষেত্রে নিরক্ষরতার চাপ ছিল বেশী। কিন্তু গ্রামীণ মেলা ও সাংষ্কৃতিক অঙ্গন ছিল স্বাদ-রূপ-রস-গন্ধে ভরাপুর। আর্থিক দুঃখ-দৈন্যতাকে তুচ্ছ মনে করে মন-মানসিকতার অমৃত সুধায় সমাজ জীবন ও সামাজিক পরিবেশেকে প্রাধান্য দিয়ে জীবন অস্তিত্বকে টিকিয়ে রাখতে লোকজ সংষ্কৃতি ও গ্রাম্যমেলা থেকে মানুষ কখনো পিছপা হননি।

কালের স্বাক্ষী হয়ে আজও টিকে আছে প্রাচীন নিদর্শন আমিরাবাদের বড় মাওলানার ঘোড়দৌঁড় মেলা, বড়হাতিয়ার বায়তুশ শরফের দ্বীনি সভা, চুনতির ১৯ দিন ব্যাপী সীরত (সঃ) মাহফিল, পদুয়ার পেঠান শাহের ওরশ শরীফ, লোহাগাড়ার শাহপীর আউলিয়ার ওরশ শরীফ, পদুয়া ও কলাউজানের ক্ষেত্রপাল এবং বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসব প্রভৃতি।

প্রতিটা উৎসব ছিল স্ব-স্ব ধর্মাবলম্বীদের জন্য এক প্রকার আনন্দঘন মিলন মেলা। এ সব উৎসবে ছিল অসংখ্য দর্শনার্থীদের প্রচন্ড ভীড়। ওই পরিবেশ আজো লেগে আছে কোন কোন ক্ষেত্রে। বড়হাতিয়া ইউনিয়নের প্রবীণ ব্যক্তি মোঃ শফি ও আধুনগর ইউনিয়নের প্রবীণ রাজনীতিক ফরিদ উদ্দীন এবং আমিরাবাদ ইউনিয়নের প্রবীণ শিক্ষাবিদ মোবারক আলী পৃথক পৃথক সাক্ষাৎকারে বলেন, প্রাচীন কালের গ্রামীণ মানুষেরা ছিলেন সহজ ও সরল প্রকৃতির। তাঁরা ছিলেন উদারমনা। তাঁদের মনে কোন কুটিল বুদ্ধি ছিলনা।

ওইসব লোকজ সংষ্কৃতি ও গ্রামীণ মেলা তাঁদের সরস প্রাণের জীবন্ত উৎস ছিল। নির্মল গ্রামীণ পরিবেশে তাঁরা অতি সাদাসিদেভাবে জীবন-যাপন করতেন। আধুনিক বিশ্বায়নের যুগে অনেক কিছুর পরিবর্তন ঘটেছে। একই সাথে পরিবর্তন হয় মানুষের মন-মানসিকতা ও রুচির। ফলে, প্রাচীন কালের গ্রামীণ মেলা ও লোকজ সংষ্কৃতির উপর ধস নেমেছে। ধার করা বিভিন্ন অপসংষ্কৃতি স্থান দখল করে নেয় বলে এলাকা পরিদর্শনকালে বিভিন্ন প্রবীণ ব্যক্তি জানিয়েছেন।

কালের আবর্তন বিবর্তন ও পরিবর্তনে অত্র উপজেলার জনপদ থেকে হারিয়ে গেছে প্রাচীন ঐতিহ্য গ্রামীণ মেলা ও লোকজ সংষ্কৃতি। রূপ-রস-স্বাদ ও গন্ধবিহীন অপসংস্কৃতির করাল গ্রাসে ওইসব গ্রামীণ লোকজ সংষ্কৃতি হারিয়ে গেছে বলে অনেকেই মন্তব্য করেছেন।

কেকে/এআর
মতামত লিখুন:

সর্বশেষ সংবাদ

ভারতে বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান
বোরো চাষে পানির মহা সংকটে কুষ্টিয়ার লক্ষাধিক কৃষক
ফুলছড়িতে কোকো ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত
ধর্ষণ ও নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ
বাধ্যতামূলক হচ্ছে অনলাইনে রিটার্ন দাখিল

সর্বাধিক পঠিত

শাবি ক্যাম্পাসে কর্মীসভার অনুমতি না পাওয়াকে ষড়যন্ত্র বলছে ছাত্রদল
বাকৃ‌বি‌তে জন্ম নি‌রোধকসহ ৫ ছিনতাইকারী আটক
লোহাগাড়া প্রবাসী মানবিক ফাউন্ডেশনের ফ্রি চিকিৎসা সেবা
বৈষম্যবিরোধীদের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির নাম পরিবর্তনের দাবিতে মানববন্ধন

গ্রামবাংলা- এর আরো খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : আহসান হাবীব
বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : বসতি হরাইজন, ১৭-বি, বাড়ি-২১ সড়ক-১৭, বনানী, ঢাকা-১২১৩
ফোন : বার্তা-০২২২২২৭৬০৩৭, মফস্বল-০২২২২২৭৬০৩৬, বিজ্ঞাপন ও সার্কুলেশন-০২২২২২৭৬০২৯, ০১৭৮৭৬৯৭৮২৩, ০১৮৫৩৩২৮৫১০ (বিকাশ)
ই-মেইল: [email protected], [email protected]

© 2024 Kholakagoj
🔝