বন্দরনগরী চট্টগ্রামের রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্র সিইপিজেডে দুটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত ৭০ জন আহত হয়েছে। আহতদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বেপজাসহ স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিইপিজেড এলাকায় এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সংঘর্ষ শুরু হলে তা ঘণ্টা ব্যাপী স্থায়ী হয়। ইপিজেডের জেএমএস এবং মেরিমকো নামে দুটি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়।
তারা জানান, বেতন-ভাতা বাড়ানোসহ বেশ কিছু দাবিতে দুই কারখানার শ্রমিকরা বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় দুটি কারখানায় বেশ কিছু যন্ত্রপাতি ভাঙচুর হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ, সেনা ও নৌবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনে।
স্থানীয় কয়েকটি সূত্র জানায়, কয়েকদিন ধরে জেএমএসের শ্রমিকরা বেতন-ভাতা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করছিলেন। দুই দিন বন্ধ থাকার পর বিষয়টির সুরাহা হয়। শনিবার ফের কারখানাটি চালু হয়।
অন্যদিকে, সকালে মেরিনকোর শ্রমিকরা দাবি আদায়ে কারখানা থেকে বেরিয়ে আসেন। সে সময় তারা ঢিল ছুড়ে সংলগ্ন জেএমএস কারখানার কয়েকটি জানালার কাঁচ ভাঙলে দুই পক্ষ সংঘাতে জড়িয়ে পড়ে।
এরপর দুই কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং এক পর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে পাথর ছোড়াছুড়ি হয়।
এ ঘটনায় শিল্প পুলিশের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পুলিশ সুপার মো. সুলাইমান বলেন, দুটি কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে বিরোধ হয়েছিল। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। আমরা ঘটনাস্থলে অবস্থান করছি।
সেনাবাহিনীর প্রতিনিধি মেজর আরেফিন ও নৌবাহিনীর প্রতিনিধি কামান্ডার মনিরুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কারখানা দুটি তিন দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইপিজেডে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে।
কেকে/এআর