চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাস এলাকায় রাতভর বাজতে থাকে গানের সাউন্ড বক্স আর ওয়াজ মাহফিলের মাইক। দিনে র্যাগ ডের নামে বাজানো হয় উচ্চ শব্দে গান। অনিয়ন্ত্রিত শব্দদূষণ ক্ষতি করছে শিক্ষার্থীদের ঘুম ও পড়াশোনার।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) দুপুর ১টায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বুদ্ধিজীবী চত্ত্বরে বিআরএফ ইয়ুথ ক্লাব উচ্চ শব্দে মাইকের অনিয়ন্ত্রিত ব্যবহার ও শব্দ দূষণ বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করে।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ‘তোমার মাইক আমার মাথাব্যাথার কারণ’, ‘শব্দ দূষণ বন্ধ কর, মাঝরাতে মাইক-বক্স বাজানো বন্ধ করুন’, শব্দ দূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০০৬ কার্যকর কর প্রভৃতি ফেস্টুন নিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
বিআরএফ ইয়ুথ ক্লাবের সদস্য ক্রিমিনোলজি অ্যান্ড পুলিশ সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী এসএম সিহাব বলেন, র্যাগ ডেসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের নামে ক্যাম্পাসে মাইক ও লাউডস্পিকারে গান বাজানো হচ্ছে। এগুলো আমাদের ক্লাস ও পাঠচক্রে মনযোগ বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। থার্টি ফার্স্ট নাইট, পিকনিকসহ বিভিন্ন নামে রাতভর উচ্চ শব্দে গান বাজানো হচ্ছে। এসব শব্দ আমাদের পড়াশোনা ও ঘুমের ক্ষতি করে। মাইগ্রেনের রোগীদের মাথাব্যথা চরম পর্যায়ে পৌঁছে দেয়। আজকাল ওয়াজ মাহফিলের নামে রাতভর মাইক বাজানো হচ্ছে। আমরা আপনাদের মাহফিল বন্ধ করতে বলছি না। আপনাদের সাউন্ড আপনাদের প্যান্ডেল বা অডিটোরিয়ামের ভেতরেই রাখুন। বাইরের অসুস্থ মানুষকে কষ্ট দেবেন না। আপনার ওয়াজের মাইক যেন রুমে আমার কুরআন পড়ায় বিঘ্ন না ঘটায়।
বিআরএফ ইয়ুথ ক্লাবের সদস্য ফাইন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী মো. ইসতিয়াক হোসেন মজুমদার বলেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে আবাসিক শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে শব্দদূষণের জন্য শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় ব্যাঘাত ঘটছে। বিশেষ করে শীতকালীন সময়ে ছুটি থাকায় বিভিন্ন এসোসিয়েশন, ক্লাব ও ডিপার্টমেন্টের পোগ্রাম থাকায় তারা রাতেও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে।
এছাড়া শীতকালীন সময়ে মাহফিলের সিজন হওয়ায় পার্শবর্তী এলাকাগুলোতে দীর্ঘরাত পর্যন্ত উচ্চ শব্দে ওয়াজ-মাহফিল করা হয়। এসব কারণে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোযোগ দেওয়াতে ব্যাঘাত ঘটে। আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি তারা যেন শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা ২০০৬ এর আলোকে রাত ১০টার পর যেন ক্যাম্পাসের আশেপাশে কোথাও যেন উচ্চশব্দে মাইক ব্যবহার না করে পড়াশোনা সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বিআরএফ ইয়ুথ ক্লাব, চবি শাখার সভাপতি অন্তর সফিউল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক এম নিয়াজ মাখদুমসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীবৃন্দ।
কেকে/এএম