দক্ষিণখানের আলোচিত কিশোর গ্যাং লিডার ও সেবকদলের নেতা এস এ খোকনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলায় খোকনসহ চারজনকে আসামি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) রাতে দক্ষিণখানের চালাবন এলাকায় ব্যবসায়ী ও যুবদলের কর্মী এনামুল হাসান শ্যামলকে খোকনের নেতৃত্বে একদল কিশোর গ্যাং সদস্য মারধর করে। গুরুতর আহত শ্যামল বর্তমানে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তার পাঁজরের হাড় ভেঙে যাওয়াসহ শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, খোকনের ফোন পেয়ে শ্যামল তার অফিসের দিকে যাওয়ার সময় সঙ্গীয় কিশোর গ্যাং সদস্যরা তাকে প্রথমে রাস্তার পাশে মারধর করে। এরপর চ্যাং দোলা করে খোকনের অফিসে নিয়ে দ্বিতীয় দফায় আঘাত করা হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, দক্ষিণখান এলাকার কিশোর গ্যাংয়ের সক্রিয় সদস্যরা খোকনের নেতৃত্বে চাঁদাবাজি ও দখলবাজির রাজত্ব কায়েম করেছে। খোকন নিজে অফিসে একটি টর্চার সেল তৈরি করে এসব অপকর্ম পরিচালনা করেন। গত কয়েক মাসে তার বাহিনী প্রায় ২০টিরও বেশি মারামারির ঘটনা ঘটিয়েছে।
স্থানীয় কিশোর গ্যাং লিডার ফরহাদ দেওয়ানকেও সেনাবাহিনী মাদক ব্যবসার অভিযোগে গ্রেফতার করেছে। ফরহাদের বিরুদ্ধে আটটি মামলা রয়েছে এবং তিনি খোকনের মূল সহযোগী হিসেবে পরিচিত।
খোকনকে আর্থিক ও রাজনৈতিকভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে গড়ে তুলেছেন দক্ষিণখান বিএনপির একজন শীর্ষ নেতা। তার সমর্থনে খোকন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ।
মারধরের ঘটনায় মামলা না নিতে খোকনের পক্ষে চাপ সৃষ্টি করা হয়। তবে এলাকাবাসীর ব্যাপক প্রতিবাদের মুখে পুলিশ মামলা নিতে বাধ্য হয়।
এ বিষয়ে জানতে খোকনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
কেকে/এএম